গল্পঃ # বোরকাওয়ালি পতিতা
part............. . 9
#Ariyan Aran....
★★★
সবাই মিলে হসপিটাল থেকে বেরিয়ে পরলাম ।
বের হওয়ার আগে ডাক্তার আংকেল এর সাথে একবার দেখা করেছিলাম ।
কারন পরে যদি আবার বাচ্চা টার কোনো প্রকার শরির খারাপ হয় তাই ।
ডাক্তার আংকেল বলছেন দরকার হলে ফোন করতে । তাই আর দেরি না করে সবাই বেরিয়ে পরলাম । ঘুরতে যাওয়ার জন্য ।
আজকে চারপাশের প্রকৃতিতে কেমন একটা সৌন্দয বিরাজ করছে । আমার মনে হচ্ছে আজকে আমি পৃথিবীতে । সব থেকে সুখি মানুষ । আমার আর কিচ্ছু চাওয়ার থাকবে না যদি ওকে.. পাই।
আপন মনে গাড়ি চালাচ্ছি । আর মেয়েটি আর ওর ভাই দুইজনে আজকে খুব খুশি । দুজনের মুখে হাসি । খুব ভালো লাগছে । ওদের মুখের এই হাসি দেখে । এই হাসিটা যেনো কখন ও কোনো কারনে না হারিয়ে যায় । সেই ব্যবস্তা করবো ।
এসব ভাবতে ভাবতে । একটা পারকের সামনে এসে । গাড়ি থামালাম।
আগে আমি নেমে গেলাম । তারপর ওরা নেমে গেলো।
আমি: তনয় কে আমার কোলে দাও ।তোমার কষ্ট হবে ।
মেয়েটা : না কিচ্ছু হবে না ঠিক আছে ।
আমি রাখতে পারবো ।
আমি : তনয় তুমি ভাইয়ার কোলে আসবে না ।(তনয় এর দিকে তাকিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলাম।)
তনয় : আপু আমি ভাইয়ার কোলে যাবো ।
মেয়েটি : আচ্ছা যা..!! এই নাও.. ধরো।
তারপর আমি তনয় কে কোলে করে নিয়ে পারকের ভিতের চলে আসলাম।
তিনজনেই একটা খোলা জায়গায় বসে ছিলাম। আজকের আকাশটা কেনো এত রোমানটিক লাগছে । মেঘের গুচ্ছ গুলো । উড়ে উড়ে খেলা করছে । আর আমি তাদের খেলার করার দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছি ।.
মেয়েটির শব্দে ধ্যান ভাঙলো।
মেয়েটি : কি হলো ওভাবে ওপরে তাকিয়ে কি দেখছো ।.
আমি: না মানে আজকের আকাশ টা কত সুন্দর তাই না ।.
মেয়েটি : কেন আজকে আকাশের কি রং বদলে গেছে । নাকি...!!
আমি : ধুর. তা না কেমন জানিএকটা রোমানটিক ভাব দেখা যাচ্ছে ।
মেয়েটি : শয়তানি বুদ্ধি..!
আমি: হিহিহি তাহলে একটু শয়তানি করেই ফেলি।
মেয়েটা : এই একদম না দেখছো এখানে কে বসে আছে ।
(ওর ভাইয়ের দিকে ইশারাদিয়ে বলে)
ও কিন্ত তোমাকে পিটাবে ।
আমি: তাই নাকি ।
আমি তনয় এর দিকে তাকাই দেখি তনয় হাসছে।
আমি : কি বেপার তুমি ও হাসছো কেনো ।
তনয় : এমনি।... হিহিহি...
আমি আর কিছু বললাম না । এর মধ্যে পুচকুটা বলে ।
তনয়: আপু ওইদিকে যাবো ।
মেয়েটি : কেন এখানে কি হইসে ।
তনয় : দেখো না আপু কত সুন্দর ফুল ওইখানে । আমি ওগুলো নিবো ।
মেয়েটি : কি করবে তুমি ফুল গুলো নিয়ে ।
তনয় : জানি না চলো না আপু চলোনা ।
মাঝখান থেকে আমি তনয় কে বললাম।
আমি: তনয় তুমি গিয়ে সুন্দর সুন্দর অনেক গুলো ফুল তুলে আনো তো ।
তনয় : আচ্ছা (হাসি দিয়ে).
তনয় গেলো ফুল তুলতে । তারপর মেয়েটির বক বক..??
মেয়েটি : তুমি ওকে যেতে বললে কেন।
আমি : তোমার সাথে শয়তানি করবো তাই ।
মেয়েটি : এই একদম ফাজলামো করবা না বলে দিলাম। তাহলে কিন্ত খুব খারাপ হবে ।
আমি: কি করবে শুনি ।
ওর হাত ধরে টেনে আমার বুকের সাথে জড়ানোর চেষ্টা করলাম । কিন্ত হেতি তার গায়ের জোর দিয়ে ছারিয়ে নেয় নিজেকে।
মেয়েটি : এই কি করছো হে লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই । লোকে দেখলে কি ভাববে।
আমি : যা খুশি ভাবুক । তাতে আমার কি । আমি আমার বউ কে ধরেছি ।
মেয়েটি : বউ বললেই বউ হয়ে যাবো নাকি । বিয়ে করছো আমাকে ।
আমি: না
মেয়েটি : তাহলে আগে বিয়ে করো তারপর বউ বইলো ।
আমি: আচ্ছা..
আর কিছু বললাম না ।
এর মধ্যে তনয় হাজির । শালাটা আমার রোমান্সএর 12টা বাজিয়ে দিলো।
তনয় : আপু আপু দেখো কত গুলো ফুল তুলে আনছি ।
আপু : এগুলো দিয়ে কি করবি ।
তনয় : আপু আমি টিভিতে দেখেছি । ছেলেরা ফুল নিয়ে মেয়েদেরকে দিয়ে জরিয়ে ধরে কি জানি বলে...!!
মেয়েটি : বেশি পাকা হয়ে গেসো আজকাল ।
আমি তো শুধু চুপচাপ বসে বসে দেখছি ।
তনয় : আপু এই নাও এগুলো তোমাকে দিলাম।
আমার মাথায় আইডিয়া এলো...
আমি: তনয় আমাকে দিবা না ।
তনয়: ভাইয়া তুমি এগুলো দিয়ে কি করবে ।
আমি: কেনো তুমি টিভিতে দেখো নাই ছেলেরা মেয়েদের কে ফুল দিয়ে জরিয়ে ধরে ।....
তনয় : কিন্ত তুমি কাকে দিবা ভাইয়া ।
আমি: কেনো তোমার বোন কে দিবো ।
তনয় : দিতে পারি কিন্ত একটা কথা রাখতে হবে ।
আমি: কি কথা বলো ।.
তনয় : আপু কে ওই ভাবে দিবা যেভাবে টিভিতে দেখছি । তাহলে দিবো ।
আমি তো খুশিতে মনে মনে ডিসকো ডান্স দিতাসি । শালাটা আমার রোমান্স এর ভালো সুযোগ করে দিলো ।.
তারপর তনয় ফুলগুলো আমার হাতে দিলো । আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে দেখি.. লজ্জায় গাল লাল হয়ে গেছে ।
এতে লজ্জার কি আছে । আমরা আমরাই তো ।
আর দেরি না করে ফুল গুলো নিয়ে সোজা হাটু ঘেড়ে ফুল গুলো সামনে এগিয়ে সরাসরি প্রোপজ করলাম।.
এতে মেয়েটা লজ্জায় মাথায় নিচু করে ফেলে কোনো কথা বলছে ।না...
আমি: কি হলো কথা বলছো না যে ।
মেয়েটি :.......... (কোনো কথা নেই চুপচাপ)
আমি : ওও বুজেছি । তুমি আমাকে ভালোবাসো না তাইনা । আচ্ছা চলে যাচ্ছি ।
বলেই হাটা শুরু করলাম।
মেয়েটা : আরে কই যাও । ওই ওই দাড়াও বলছি ।
আমার হাত টেনে ধরে টান মেরে আবার পিছন মুখ ঘুরিয়ে নিলো।
আমি : ছাড়ো তো..
মেয়েটি : ওরে বাবালে সাহেব দেখি রাগ করছে ।
দেখো তনয় তুমি না বললে তোমার ভাইয়াকে আমাকে যাতে জরিয়ে ধরে ।
কই ধরলো না তো আরো উলটো রাগ দেখিয়ে চলে যেতে চাচ্ছে ।
(তনয়ের দিকে তাকিয়ে)
তনয়: ভাইয়া তুমি তোমার কথা রাখবা না।
নাহলে কিন্ত আর তোমার সাথে ঘুরতে আসবো না ।
আপু কে জরিয়ে ধরো বলছি ।
আমি তো পুরাই টাসকি ।
আর কিছু না বলে সাথে সাথে মেয়েটিকে জরিয়ে ধরলাম।
তনয় : কি মজা কি মজা ভাইয়া আপুকে জরিয়ে ধরছে । হিহিহি ।
আমরা দুজনেই চুপ করে আছি । কিছুক্ষন পর মেয়েটা বলল..
মেয়েটি : এবার ছারো ।...
আমি: না
মেয়েটি : উফফ কেউ দেখে ফেলবে তো ছারো বলছি ছারো ।.
আমি: দেখুক...??
(আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরি)
কিছুক্ষন পর ছেরে দেই ।...
আমি: কিছু খাবে নাকি এখানে এইভাবে থাকবে ।
মেয়েটি : না আমি কিছু খাবো না ।
আমি: তনয় তুমি কিছু খাবে ।
তনয় : হমমম চকলেট খাবো ।
আচ্ছা চলো.....
অবশেষে সবাই একটা দোকানের সামনে গেলাম তনয় কে চকলেট কিনে দিলাম। তারপর আমি । বললাম তুমি ওকে নিয়ে একটু দারাও আমি একটা ফোন করে আসছি ।
মেয়েটি : আচ্ছা
অতপর আমি ফোন করতে একটু সাইটে চলে গেলাম । আর মেয়েটা আর তনয় দুজনেই দারিয়ে রইলো।
আমি ফোন করলাম আমার সব বন্ধুদের ।সবাই কে কালকে সকালে আমার বাসায় । আসতে বললাম।
তারা জিজ্ঞেস করেছিলো কেনো ।
আমি তাদের বলেছি আমি একটি মেয়েকে ভালো বাসি আর তাকে কালকে বিয়ে করতে চাই । তারা সবাই খুব খুশি ।.
তারা বলে কালকে সকালে ঠিক টাইম এ পৌছে যাবে ।
আমি আর কিছু না বলে । ফোন কেটে দিলাম । তারপর চলে গেলাম । ওদের কাছে ।
আমি: চলো... যাই
মেয়েটি : কোথায় ।
আমি: আহ চলো তো এত কথা বলো কেন ।
মেয়েটি আর কিছু না বলে হাটা শুরু করলো। আমার সাথে। আর পুচকুটা চকেলট খাচ্ছে মনের সুখে ।
তারপর সবাই গাড়িতে চড়ে বসলাম । আমি গাড়ি চালাচ্ছি ।
কিছুদুর গিয়ে একটা শপিংকমপ্লেক্স এর সামনে গাড়ি দার করালাম।
তারপর সবাই মিলে ভিতের গেলাম।
মেয়েটি : কি হলো এখানে নিয়ে আসলে কেনো।
আমি: শপিং করবো তাই ।
মেয়েটি : কি কিনবে তুমি..??
আমি : দেখতে থাকো ।
তারপর আমি আমার জন্য একটা পানজাবির সেট কিনলাম। মেয়েটির জন্য এক সেট শাড়ি কিনলাম। একটা নিল শাড়ি কিনলাম । যেটা আমার সব থেকে প্রিয় রং ।
মেয়েটি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে ।
কিছু বললো না । তারপর অনেক ঘুরাঘুরি করলাম । তনয় ঘুমিয়ে পরছে । ওর আপুর কোলে আমি গাড়ি চালাচ্ছি । একটু পর দেখি । মেয়েটাও চোখ বন্ধ করে ফেলছে । সারাদিন অনেক ঘুরাঘরি করছে তাই হয়তো ঘুমিয়ে পরছে ।
যাই ওদের আমার বাসায়.. নিয়ে যাই ।
ঘুমিয়ে আছে ঘুমিয়ে থাক । জেগে থাকলে কোনোদিন আমার সাথে আমার বাড়িতে যেতো না ।
তারপর চলে আসলাম আমার বাড়িতে । দারোয়ান কাকা গেট খুলে দিলো ।
আমি গাড়ি থেকে নেমে দারোয়ান কাকা কে বলে দিলাম কালকে সকালে আমার বন্ধুরা আসবে । তাদের ভিতরে পাটিয়ে দিতে ।
দারোয়ান কাকা : আচ্ছা
তারপর আমি আগে তনয় কে ভিতরে আমার রুমে নিয়ে গিয়ে শুয়িয়ে দিয়ে আসি । এসে তারপর.. মেয়েটাকে ভিতরে নেওয়ার জন্য কোলে তুলে নিলাম।
তার ঘুমন্ত চেহারা দেখে আমি বার বার তার উপর ক্রাশ খাই। সত্যি খুব মায়াবি চেহারা । এই মুখ টা না দেখে একদিন ও থাকা আমার জন্য অনেক কষ্টকর.. । এই মায়াবতীকে সারাজিবন আমার পাশে চাই ।
কালকেই সারাজিবনের জন্য ওকে আপন করে নিবো ।
মেয়েটাকে রুমে এনে. শুয়িয়ে দিলাম । আর ওর কপালে এলতো করে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিলাম।
ওখানেই পাশে একটা চেয়ার নিয়ে বসে ওর হাত ধরে রেখেছি।
মনে মনে ভাবছি ।
তোমার জিবনের সব কষ্ট কে আমি আমার নিজের করে নিতে চাই । আর কোনোদিন ও তোমাকে কাদতে হবে না । তোমার পাশে মরার শেষ মূহুত পযন্ত থাকবো । যতই যাই হোক কোনোদিন ও তোমাকে ছেড়ে দিবো না । তোমার এই হাতটি খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরে থাকবো সারাজিবন।
আপন মনেই এসব কথা ভেবে নিজেকে খুব সুখি মনে হচ্ছে ।
একটু পরেই মনে পরলো । কেউ তো এখনো রাতের খাবার খায়নি ।
ওকে কি ঘুম থেকে ডেকে তুলবো ।
না থাক এখন একটু ঘুমাক সারাদিন অনেক দকল গেছে।
আমি বরং যাই গিয়ে দেখি কিচেনে কিছু পাই.. কি না ।
মেয়েটির গায়ে চাদর দিয়ে ডেকে দিয়ে কিচেনে চলে আসলাম.. ঘরে আগে থেকেই রান্না করা খাবার ফ্রিজে ছিলো। শুধু গরম. করতে হবে । কিন্ত ভাত নেই ।
তাই আর দেরি না করে ভাত বসিয়ে দিলাম।
তারপর ফ্রিজ থেকে তরকারির বাটিটা বের করেই পিছন ফিরে তাকিয়ে আমি রিতিমতো চমকে উঠলাম। দেখি মেয়েটা আমার সামনে দারিয়ে আছে...
আমি:তুমি কখন উঠলে ।
মেয়েটি : এই মাতরো । কিন্ত তুমি আমাকে এখানে নিয়ে আসলে কেনো।
আমি : তো কোথায় নিয়ে যেতাম ।
মেয়েটি : কেন আমি যেই বাসায় থাকি সেখানে নিয়ে যেতে ।
আমি: কেনো এখানে কি প্রবলেম ।
মেয়েটি : প্রবলেম আমার নেই প্রবলেম সমাজের । লোকে জানতে পারলে কি ভাববে একবার ভেবে দেখেছো ।
আমি : যা খুশি ভাবুক তাতে আমার কি ।
মেয়েটি : তোমার কিছু না কিন্ত আমার অনেক কিছু । আমি এখানে থাকতে পারবো না ।
কথাটা শুনে খুব ই কষ্ট পেলাম । খুব খারাপ লাগছে । আমি কি এতই খারাপ যে আমার সাথে বিয়ের আগে এক বাসায় এক ছাদের নিচে থাকা যায় না । আর কথা বাড়াবো না থাকতে যখন চায়না । তখন আর কি করার ।
আমি তরকারির বাটিটা টেবিলের উপর রেখে । ওকে পাশ কাটিয়ে কোনো কথা না বলে । চলে আসলাম আমার রুমে । বুকের মধ্যে কেমন যেনো একটা টান টান ভাব দেখা যাচ্ছে ।
যাই হোক রুমে এসে তনয় কে কোলে নিয়ে বের হলাম। মেয়েটির সামনে গিয়ে দাড়িয়ে বললাম
আমি: চলো.. তোমাদের দিয়ে ।
কথাটা বলার সময় গলাটা আটকে যাচ্ছিলো। কেউ যেনো একজন গলা চেপে ধরেছিলো এমন টা মনে হয়েছে ।
মেয়েটি আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে । আমি আর কথা না বাড়িয়ে সোজা হাটা শুরু করলাম ।
বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়ির সামনে গিয়ে দাড়িয়ে রইলাম । খানিক ক্ষন বাদে মেয়েটা এলো ।
মেয়েটি : তনয় কে আমার কোলে দাও ।
আমি : ওকে..
তনয় কে মেয়েটির কোলে দিয়ে আমি গাড়িতে বসে পরলাম ।
কিন্ত অবাক করা বেপার হলো । মেয়েটি গাড়িতে বসেনি । দাড়িয়ে রয়েছে ।
আমি গাড়ির জানালা দিয়ে বললাম .
আমি: কি হলো বসো । তারাতারি যেতে হবে তো ।
মেয়েটি : কই যাবো ।
আমি : কই যাবা মানে একটু আগেই না বললা তোমার বাসায় যাবা ।
মেয়েটি : এটাই আমার বাসা । আমি এখানেই থাকবো । চলো ভেতরে চলো।
আমি: না এখানে থাকতে পারবে না । এখানে থাকলে লোকে জানলে খারাপ কথা বলাবলি করবে ।
তার থেকে ভালো তোমাকে তোমার বাড়িতেই রেখে আসি ।
মেয়েটি : আমি জানি তুমি রাগ করে কথা গুলো বলতাসো ।
আমি : এতে রাগ করার কি আছে । তুমি তোমার বাসায় যেতে চাচ্ছো । তাই তোমাকে দিয়ে আসতে হবে তো ।
মেয়েটি : আচ্ছা সরি আমার ভুল হয়ে গেছে । এখন চলো ত ।
আমি : গাড়িতে বসো তোমাকে বাসায় দিয়ে আসতে আসতে অনেক রাত হয়ে যাবে ।
মেয়েটি : না আমি কোথাও যাবো না । এখানেই থাকবো । এটা আমার স্বামির বাড়ি । তারমানে এটা আমার ও বাড়ি ।
চলো এখন ভেতরে চলো ।
আমি : চুপচাপ গাড়িতে বস.. (কিছুটা রাগিসুরে দমক দিয়ে)
মেয়েটা দমক খেয়ে কান্না করা আরাম্ব করে দিলো ।
ধুর ছাই.. কিছু বললেই শুধু কাদে । হেতির চোখ নাকি অন্য কিছু । একটু পর পর পানি বেয়ে পরে ।
মেয়েটি : তুমি ভালো না তুমি পচা । তুমি খালি আমাকে বকো । আমি বুজেছি তুমি আমাকে ভালো বাসো না ।
আমার আর কিছু বলার নেই । মাজে মাজে মেয়েটা এমন সব কথা শুনায় যার উত্তর আমার কাছে নেই ।
আমি গাড়ি থেকে নেমে ওর সামনে গিয়ে দারাই ।
আমি : ঢং করো ।
মেয়েটি : হু.. (কেদেকেদে)
আমি : হইসে আর ঢং করতে হবে না । চলো ভেতরে চলো ।
মেয়েটার মুখে হাসির ছাপ দেখে আমার ও মুখে হাসি ফুটে উঠলো ।
সত্যি কোনো মেয়েদের কে কোনো ছেলে কোনোদিন ই বুজতে পারবে না । আসলে মেয়েরা মাজে মাজে কি চায় । তা তারা নিজেই জানে না ।
মেয়েটি : এই নাও তোমার ভাইকে কোলে নাও।
আমি : এই তনয় আমার ভাই না । আমার শালা ।
মেয়েটি : মাইর খাবা কিন্ত ওইটা বললে ।. আমি তনয় কে কোলে নিতে নিতে জিজ্ঞেস করলাম কেনো ।
মেয়েটি: এমনি..!!
আচ্ছা চলো ভেতরে চলো তো আমার খুব ক্ষুদা লাগছে । তারা তারি চলো না প্লিজ।
আমি : আচ্ছা চলো..
তারপর দুজনে ভিতরে চলে আসলাম আবার । আমি তনয় কে আমার রুমে শুয়িয়ে দিয়ে আসলাম।
আর মেয়েটা চলে গেলো কিচেনে ।
আমি গিয়ে দাড়িয়ে দারিয়ে দেখছি ওকে এক নজরে । চোখের পলক ও পরতে চায়না ।. এক্কেবারে পুরা নতুন বউ এর মতো লাগছে ।
মেয়েটির আমার দিকে চোখ পরলো..
মেয়েটি : এই কি দেখছো এইভাবে..
আমি: তোমাকে..
মেয়েটি : আগে দেখোনি বুজি
আমি: দেখেছি আর যতবার ই দেখছি তোমাকে ততো বার ই তোমার প্রেমে পড়ে গেছি ।
মেয়েটি : ওলে বাবা লে... তাই নাকি..
আমি: জ্বি তাই
মেয়েটি : মনে থাকে যেনো আমি ছারা অন্য কারো প্রেমে পড়লে আগে তোমাকে মারবো । তারপর যার প্রেমে পড়বে তাকে খুন করে নিজেও গলায় ধরি দিয়ে মরে যাবে.......
আমি : ওই কি বলিস এসব. অন্য কারো প্রেমে পড়বো কেন তুই থাকতে । শোন আমি বাকি সবার থেকে আলাদা । আমি এক নারীতে সন্তুষ্ট পুরুষ বুজলি ।
মেয়েটি : হমমম বুজছি যাও এখন গিয়ে টেবিলে বসো আমি রান্নাটা শেষ করে আসছি।
আমি : এই শোনো.
( কিছুটা মিষ্টি সুরে)
মেয়েটি: কি..
আমি আস্তে আস্তে হেটে ওর সামনে যাচ্ছি
মেয়েটি : এই সামনে আসচ্ছো কেনো.. মতলব টা কি হ্যা...
আমি: হিহিহি । (শয়তানি হাসি দিলাম)
মেয়েটি : এই দেখো একদম দুষ্টুমি করার চেষ্টা করবা না বলে দিলাম । তাহলে কিন্ত..
আমি: কিন্ত কি... কি করবে শুনি ।
মেয়েটি : পালিয়ে যাবো ।
আমি : চেষ্টা করতে পারো ।
মেয়েটি: না প্লিজ এখন এমন করো না প্লিজ ।
আমি সাথে সাথে ওর হাত ধরে টেনে আমার বুকের মধ্যে জরিয়ে নিলাম । সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি তার চোখ বন্ধ করে ফেললো । বুজতে পারছি খুব লজ্জা পেয়েছে ।
এমন একটা লজ্জাবতি রাঙা বউ কে না চায় । সবাই চায় যেনো তার প্রিয় মানুষ টি তাকে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসে । এমন সৌভাগ্য আর কজনের হয় ।
আজকে নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
অনেকক্ষন জরিয়ে ধরে থাকার পর. মেয়েটির শব্দে ধ্যান ভেঙে গেলো।
মেয়েটি : এই ছারো বলছি ছারো । এই জন্য আমি থাকতে চায়নি । তুমি শুধু দুষ্টুমি করার সুযোগ খোজো ।
গায়ের জোর খাটিয়ে নিজেকে ছারিয়ে নিলো।
আমি: দশ টা পাচ টা একটা মাতরো বউ । তার সাথে করবো না তো কার সাথে করবো শুনি ।
মেয়েটি : হয়েছে আর প্রেম দেখাতে হবে না ।
আমি : তো কি দেখাবো ।
মেয়েটি কিছুনা যাও গিয়ে টেবিলে বসো আমি খাবার নিয়ে আসচ্ছি ।
আমি : আমি কি সাহায্য করতে পারি ।
মেয়েটি : কি করবে শুনি..
আমি: যেনো কোনো কিছু..
মেয়েটি : আচ্ছা...
ও হয়তো ভাবছে অন্য কিছু । কিন্ত আমি তো মনে মনে অন্য কিছু ভাবছি । কি ভাবছি তা দেখতে পাবেন।
অতপর মেয়েটি রান্না করছে ।
আমি আস্তে করে তার পিছন এ গেলাম ।
মেয়েটিকে আবার জরিয়ে ধরলাম।
মেয়েটি : এই এই কি করছো আবার শুরু করলা নাকি ।.
আমি : উমমমমম.... (জরিয়ে ধরে)
মেয়েটি : এই বুজি তোমার সাহায্য করা ।
আমি : হমমম তুমি রান্না করো আমি তোমাকে জরিয়ে ধরে থাকি ।
সাথে সাথে আমার হাত গুলো ওর কোমড় স্পশ করতেই ও কিছুটা সিউরে উঠে। চোখ বন্ধ করে ফেলে । ওর হাটবিট বেড়ে । যাচ্ছে । খুব জোড়ে জোড়ে নিস্বাস নিচ্ছে ।এমনকি ওর ঠোট জোড়াও কাপছে । ইচ্ছে করেছিলো একটা কিস করতে কিন্ত তা করি নি নিজেকে সামলে নি।
মেয়েটি : আমার হাটবিট দিগুন বাড়ছে । কেমন যেনো লাগছে । প্লিজ লক্ষিটা ছেড়ে দাও...!
আমার আর বুজতে বাকি রইলো না । ও পুরোপুরি আমার নেশায় ডুবে যাবে যদি বেশিক্ষন জরিয়ে ধরে থাকি ।
তাই আমি ও নিজেকে কন্টোল করে রাখলাম। ছেড়ে দিলাম ওকে ।
মেয়েটি লজ্জায় মাথা তুলতে পারছে না ।
মেয়েটি : মন ভরছে । এখন যাও গিয়ে টেবিলে বসো । আর যদি দুষ্টুমি করার চেষ্টা করো তাহলে কিন্ত এই খুন্তি দিয়ে ছেকা দিবো ।
আমি : হিহিহি আমাকে ছেকা দিলে আমার থেকে বেশি কষ্ট তুমি পাবে ।
তা আমি জানি ।
মেয়েটি : দুরবলতা জেনে গেছো তাহলে ।
আমি: হমমমম । আচ্ছা শোনো..
মেয়েটি : কি..
আমি : না মানে... (কিছুটা ভংগি ধরে)
মেয়েটি : কি বলো..?
আমি : তোমাকে না আজকে বউ বউ লাগছে । (হেসেহেসে)
মেয়েটি : তবে রে.......
চলবে.........