অবহেলিত_প্রেমিক_যখন_বিমান_বাহিনীর_বড়_অফিসার ১৫ পর্ব

#অবহেলিত_প্রেমিক_যখন_বিমান_বাহিনীর_বড়_অফিসার🦋
      ⏪  ⏪লেখখ:রাসেল"কালো ভূত⏩   ⏩
                      ---------১৫ পর্ব--------
⏪⏩▶
⏩▶
🎤
আহানা:-ভাইয়া আমার না খুব কান্না পাচ্ছে এখন,তুই যদি কথা না বলিস তাহলে কিন্তু আমি সত্যি সত্যি কেদে দিবো হুম।

রাসেল:-তো কাদেক তো একটু দেখি পেত্নি কাদলে কেমন দেখা যায়।

আহানা:-এ্যা এ্যা ভাইয়া তুই একদম পচা,একটুও আমাকে ভালোবাসিস না।

রাসেল:-ঐ এমন ন্যাকামো বাদদে তো,এখন কি বলতে এসেছিস সেইটা বল।

আহানা:-ভাইয়া আমার না সত্যি অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে তখন তোর সাথে অমন ভাবে কথা বলা,প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দে।

নিধি:-ঐ এতো করে বলছে ও তার পরেও তুমি কিভাবে ওর উপরে রাগ করে আছো হুম,ছোট বোন তো একটু এমন করবেএ সাভাবিক,তাতে এতো রাগার কি আছে।

রাসেল:-আরে তুমি ও কি পাগল হলে নাকি আমি রাগ কেনো করতে যাবো,আমি তো তখন এমনি চলে এসেছি ওখান থেকে,আর ঐ পেত্নি আমি কি তোর সাথে রাগ করে থাকতে পারি বল।

আহানা খুসি হয়ে রাসেল কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়।

আহানা:-এইতো আমার লক্ষি ভাইয়া,আসলেই আমি সত্যি খুবই ভাগ্যবতি যে তোর মতো এতো সুন্দর মনের ভাই পেয়েছি,যে আমার মায়ের পেটের ভাই না হয়েও তার থেকে বেশি ভালোবাসে।

রাসেল :-হয়ছে এখন আর বলতে হবেনা,আমার না খুব খারাপ লাগতাছে আমার মাথায় একটু তেল মালিশ করে দিবি।

আহানা:-তুই একটু দারা আমি এখুনি দিচ্ছি।

আহানা তেল এনে মালিশ করতে লাগে,এটাই হলো ভাই বোনের ভালোবাসা,যতই ঝগড়া হোকনা কোনো আদর যত্ন একটুও কমবে না।

আহানা:-ভাইয়া আমার না খুব করে জানতে ইচ্ছে করতেছে তোর অতিতে কি কি ছিলো।

নিধি:-ঐ বলোনা গো আমার ও খুব করে জানতে ইচ্ছে করতেছে,তোমার মনে ভালোবাসার বিষ কিভাবে এসেছিল।

রাসেল:-হুম ফলবো তবে কেউ কোনো কথা বলতে পারবেনা।

আহানা:-আচ্ছা ঠিক আছে আমরা কিছুই বলবো না।

রাসেল:-তাহলে শোন,আমি একটা যখন কলেজে  প্রথম ভর্তি হয়,তখনি একটা মেয়ে কে আমার খুব ভালো লাগতো বলতে প্রথম দেখাই ক্রাশ খেয়ে যায়,প্রথম প্রথম আমাকে দেখতেই পারতো না,মাইর সাথে অবহেলা করতো,আমি ছিলাম এতিম ও খেত টাইপের ছেলে,এইভাবে অনেক দিন যায়,ধিরে ধিরে ইসরাত ও আমার মাঝে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়,চলতে থাকে ভালোবাসা গল্প,কিন্তু তার পরেই আমার জীবনে নেমে আসে কালো অন্ধকার।

আহানা:-কেনো ভাইয়া তখন কি কারেন্ট ছিলনা যে অন্ধকার নেমে আসলো।

রাসেল:-এই জন্যেই আমি বলতে চাইচিলাম না,তোদের না বললাম কথার মাঝে বাম হাত ডুকাবিনা।

আহানা:-সরি ভাইয়া আর হবেনা,তুই বলনা প্লিজ।

রাসেল:-হুম ইসরাত আমাকে অবহেলা করতে থাকে,যেটা আমার একদম সহ্য হতো না কিছুই বলতাম না,খুব বেশি ভালোবাসতাম যে,কিন্তু ও আমাকে বোঝেনি।

রাসেল এইভাবে সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলে,রাসেলের কষ্টের কাহিনি শোনার পরে রাসেল খেয়াল করে নিধি ও আহানার চোখে পানি।

রাসেল:-কিরে তোদের আবার চোখে কি হলো এভাবে কান্না করতেছিস যে।

নিধি:-তোমার জিবনে এতো কষ্টছিলো কৈ একটি বারের জন্য ও তো আমার সাথে শেয়ার করনি।

নিধি:-খুব করে কষ্ট পেতে তাই বলতে চাইনি,আমি তো ইসরাতের মতো তোমাকে হারানোর ভয় পায়।

নিধি:-পাগল একটা আমি এই জিবন থাকতে তোমাকে কখনো ভুলবো না,ঐ মেয়েরে আমার সামনে পেলে সেলট করতাম।

নিধির এমন কথা শুনে রাসেল ও আহানা যেনো আকাশ থেকে পরে,রাসেল অবাক হয়ে জিগ্গেস করে।

রাসেল:-কি বলছো যেই মেয়ে আমার সাথে এমন করছে,তুমি তাকেই সেলুট করবে।

নিধি:-সে যদি তোমার সাথে এমন না করতো তাহলে কি আল্লাহ তোমাকে আমার কপালে রাখতো বলো।

রাসেল:-ওহহহহ এইবেপার,শোনো আল্লাহ যাকে যার ভাগ্যে লেখে রাখে,যে কোনো ভাবেই তাকে তার জিবনের সাথে মিলিয়ে দেয়।

নিধি:-হুম সেটা আমি জানি তবে,ঐ মেয়েটা সত্যি অনেক বড়ো ভুল করেছে তোমার মতো হিরা কে পেয়ে হারিয়ে।

এইভাবে আরো অনেক সময় কথা বলে, নিধি রাসেল কে বলে তার বাসাই চলে যায়,কেননা অনেক সময় হলেই এসেছে,আবার ওর কিছু দিন পরে পরিক্ষা,তাহলে ভাবতেই পারছেন কিভাবে থাকবে।

আহানা:-ভাইয়া ভাবি খুব লক্ষি একটা মেয়ে তাইনা,ইসরাতের মতো এতো পচানা।

রাসেল:-হুম আমি নিধি কে কতো করে ইগনোর করেছি,কিন্তু তবুও বার বার আমার কাছেই ফিরে এসেছে,আর ইসরাতের কথা আর কিবা বলবো,সেটা আমার ভাবনায় আসেনা,মনপ্রাণ দিয়ে ওকে ভালোবাসতাম,যেটা বললে হয়তো বুঝবিনা।

আহানা:-ভাইয়া আমি সব বুঝি,আচ্ছা তোর এমনিতেই মাথা ব্যাথা করতেছে তাই কথা না বলে চুপটি করে ঘুমিয়ে পর,দেখবি অনেক ভালো লাগবে।

রাসেল আহানার সাথে আর কোনো কথায় বলতে পারেনা,তার আগেই ঘুমের দেশে পারি জমায়,কেননা আহানা বিলি কেটে দিচ্ছিলো,আর মাথায় বিলি কেটে দিলে রাসেলের আর কিছুই লাগেনা,কিছু সময় পরে আহানা চলে যায়,এইভাবে কেটে যায় কয়েকটা দিন আজকেই রাসেলের প্রথম জয়েন,বেলা আটটা তিরিশ তবুও রাসেলের ওঠার কোনো নাম গন্ধই নেই।

রাশিদা:-আহানা আজকে না রাসেলের জয়েন করার কথা,তাহলে ও এখনো পরে পরে ঘুমাচ্ছে এটার মানে কি।

আহানা:-কতো করে বলি নিধি কে ভাবি করে নিয়ে আসো,দেখবে ওর ঘুম ছুটিয়ে সকাল সকাল ওঠার অভ্যাস করবে।

রাশিদা:-আনবো তবে কিছু সময় যাক রাসেল ও একটু নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে উঠুক।

আহানা:-কি বলো এটা,তাহলে ভাইয়া কি এখন অন্যের পা দিয়ে হাটে নাকি।

রাশিদা:-আরে গাধি তুই বুঝবি না,তুই বরং গিয়ে রাসেল কে ডেকে উঠা কেমন।

আহানা:-যাচ্ছি এতে রাগ দেখানোর কি আছে,মনে রেখো রাগ আমার ও কিন্তু আছে।

বলেই আহানা চলে আসে রাসেলের রুমে,এসেই দেখে কোলবালিশ কে জড়িয়ে মনে সুখে ঘুমিয়ে আছে।

আহানা:-এহহহ নবাব জাদা পরে পরে ঘুমাবে আর আমার শুধু ডেকে উঠাতে হবে,ভাইয়া ঐ ভাইয়া ওঠনা।

রাসেল:-উম।

আহানা:-ঐ তুই উহ উহ বাদ দিয়ে উঠবি নাকি পানি ঢেলে দিবো কোনটা হুম।

রাসেল:-এই পেত্নি তুই সকাল সকাল এতো চিল্লাচিল্লি করছিস কেনো হুম,তোর কি খেয়ে দেয়ে কোনো কাম নাই নাকি এটা ছাড়া।

আহানা:-তুইতো ঘুমথেকে উঠিস নাই তার জন্য আমি ও অন্য কাজ করতে পারিনা দজ্জাল রাশিদা চৌধুরী আমাকে এই কাজেই পাঠাই।

রাসেল:-সবেমাত্র মনে হয় পাঁচটা বাজৈ আর তুই এখনি আমার ঘুমটাকে সর্গে পাঠিয়ে দিলি।

আহানা:-হু এখনতো চারটা বাজে তুই আরো ঘুমা অফিসে আর যেতে হবেনা আর একটু পরে নইটা বাজবে বুঝেছিস।

রাসেল আহানার কথা শুনে লাফিয়ে উঠে পরে,আর আহানা কে বলে ওঠে।

রাসেল:-কি বলিস এইসব,নইটা বাজে আর তুই আমাকে এখন ডাকতাছি,তুইনা কেমন জানি সময়ের কাজ সময়ে করতে পারিস না।

রাসেল উপরের কথা গুলো বলেই দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে যায়,এইদিকে আহানা অবাক হয়ে বলছে।

আহানা:-যাহ বাবা কতো সময় ধরে ডাকাডাকি করতেছি আর উনি বলেকিনা আরো আগে কেনো ডাকিনি,হাইরে কপাল আমার।

আহানা বির বির করতে করতে নিচে চলে আসে,রাসেল ও ফ্রেস হয়ে রুমে এসে মোবাইল টা হাতে নিয়ে নিধি নাম্বারে ছোট্ট করে একটা গুড মর্নিং কলিজা দিখে রেডি হয়ে নিচে চলে আসে,নিচে এসে দেখে টেবিলে সব খাবার সাজানো,আর ওর বাবা প্লেট নিয়ে বসে আছে।

রাসেল:-আব্বু তুমি না খেয়ে এভাবে প্লেট হাতে নিয়ে বসে আছো কেনো হুম।

রফিকুল:-তোর জন্যই তো সেই কখন থেকে বসে আছি,কিন্তু বাবা তোর তো আশার কোনো নাম গন্ধই নেই।

রাসেল:-ওহহ আব্বু আর বলিও না আমার আজকে একটু ঘুম থেকে উঠতে লেইট হয়ে গেছে,আসলে মনেই ছিলো না আজকে আমার জয়েন করতে হবে।

রফিকুল:-হয়ছে এখন কথা না বলে তারাতাড়ি খেয়ে চল,সবাই তোর জন্য অপেক্ষা করতেছে।

এভাবে আরো কথা বলে ওরা বাবা ছেলে খাবার পর্ব শেষ করে রাসেল ওর বাবা মায়ের পায়ে হাত রেখে সালাম করে,বুক ভরা দোয়া নিয়ে চলে আসে  এয়ারপোর্টে,সব কাজ শেষ করে ওর কেবিনে এসে বসে,ওর বাবা ওকে কাজ নিজেই বুঝিয়ে দেয়,বুঝতেই পারেন ছেলে বলে কথা।

আকাশ:- আসসালামুয়ালাইকুম স্যার কেমন আছেন।

রাসেল নিচের দিকে তাকিয়ে মনোযোগ নিয়ে খাতায় কি যেনো একটা করতেই ব্যস্ত ছিলো,আকাশের কথা শুনে উপরে তাকিয়ে।

রাসেল:- ওয়ালাইকুমাসালাম,হুম আমি অনেক ভালো আছি,তা মিস্টার আকাশ সাহেব আপনে কেমন আছেন।

আকাশ:-হুম স্যার আমিও অনেক ভালো আছি,আপনার পরিবারের সবাই কেমন আছে।

রাসেল:-সবাই ভালো আছে,আপনার পরিবারের সবাই কেমন আছে।

আকাশ:- আলহামদুলিল্লাহ স্যার সবাই অনেক ভালো আছে।

এইভাবে একে অন্যের সাথে অনেক কথা বার্তা বলে কাটিয়ে দেয় অফিসের পুরো সময়,অফিস শেষ করে বাসাই ফেরার পথে একটা জায়গায় দেখতে পায় নিধি দাঁড়িয়ে আছে,রাসেল ধিরে ধিরে নিধির সামনে গাড়ি থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পরে,নিধি রাসেল কে দেখে অনেক টাই অবাক হয়ে।

নিধি:-আরে তুমি এখানে কিভাবে আসলে,আর রাগ করিওনা আমি এখানে এসেছি বলে।

রাসেল:-তা ম্যাডাম তুমি একা একা এখানে কি করতেছো সুনি।

নিধি:-আমি এই হাসপাতালে একটা কাজে এসেছিলাম,মানে আমাকে ডাকা হয়েছিলো,এখন কাজ টা শেষ হয়ে গেছে,গাড়ি নিয়ে আসিনি আর এখন একটা গাড়ি ও পাচ্ছি না।

রাসেল:-ওহহহহ আচ্ছা তো আমাকে তো একটা বার ফোন করে সেটা বলতে ও পারতে।

নিধি:-হুম সেটা তোমাকে বলা হয়নি,একদম ভুল হয়ে গেছে সরি বাবু,প্লিজ রাগ করে থেকোনা।

রাসেল যেইনা কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই একটা ছেলে মা নিলয় এসে বলে ওঠে।

নিলয়:-ঐ জানু এভাবে কতো দাঁড়িয়ে থাকবে হুম,চলো আমরা বরং অন্য জায়গায় ঘুরে আসি,সারাদিন তো এখানে সেখানেই ঘুরে বেরালাম।

নিধি:-হুম(ভয়ে ভয়ে)

নিলয়:-কিন্তু তুমি যে এইছেলের সাথে কথা বলতেছো তা এটা কে শুনি,তুমি কি চেনো।

এইদিকে সব তো রাসেলের মাথা উপর দিয়েই যাচ্ছে কি হচ্ছে এই সব,নিধি যেইনা কিছু বলতে যাবে তার আগেই রাসেল বলে ওঠে।

রাসেল:-বাহ নিধি বাহ এই ছিলো তাহলে তোমার ইমপ্রটেন্ট কাজ হাসপাতালে,এটা ছিলো তোমার মনে।

নিধি:-প্লিজ একটা বার আমার কথাটা শোনো।

রাসেল:-ব্যাস আর একটা কথাও বলবেনা,আসলে তোমাকে বিশ্বাস করাটাই আমার ভুল হয়েগেছে,আরে তোমার যদি মন নিয়ে এতোই ছিনিমিনি খেলার সক তো খিলতে কিন্তু আমাকেই কেনো বেছে নিলে।

নিধির মুখে কোনো কথা নেই থাই দাঁড়িয়ে আছে,ভয়ে নিধি ও নিলয় দুইজনই কাপছে,রাসেলের চোখ দিয়ে যেনো আগুনের ফুলকি ঝরছে।

রাসেল:-পরিশেষে একটা কথায় বলবো,আমার সাথে যেই নাটক টা করলে,সেটা আর কারো সাথে করিও না,কেননা আমার মতো হয়তো সবাই এতোটা কষ্ট বুকে নিয়ে বেচে থাকতে পারবেনা,তবে হ্যাঁ আমি সেই মানুষগুলোর মতো না  যারা ভালোবাসার শত্রু হয়ে সামনে দাঁড়ায় ভালো থেকো আল্লাহ হাফেজ।

রাসেল চোখের কোণে জমে থাকা পানি মুছতে মুছতে গাড়ি নিয়ে চলে আসে,আজকে খুব করে কাদতে ইচ্ছে করতেছে রাসেলের।

রাসেল:-হে আল্লাহ তুমি বলতে পারো শুধু,বার বার আমার সাথেই এমনটা কেনো হয়, পৃথিবীতে কি আমি বাদে তুমি কোনো মানুষ কেই চোখে দেখোনা,নাকি আমার সাথেই তোমার এমনটা করতে বেশি ভালো লাগে।

এইসব বলতেছে আর নিজের চোখের পানিতে বালিশ ভিজিয়ে ফেলছে,এইদিকে রাসেল কে কান্না করা অবস্থায় রাশিদা চৌধুরী দেখেতো পাগল প্রায় ছেলে কি হয়েছে ভাবতেই অস্থির।

রাশিদা:-বাবা তোর কি হয়েছে এইভাবে কান্না করতেছিস কেনো,আমাকে একটু বল কি হয়েছে।

রাসেল:-না মা কিছুই হয়নি,আজকে আগের দিনের কথাগুলো খুব করে মনে পরছে তাই একটু চোখে জল।

রাশিদা চৌধুরী ছেলের এমন মিথ্যে কথা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারলোনা,আর কি করেই বা পারবে বলেন,একেতো আইনের বিচারপতির চোখ দুইয়ে মায়ের চোখ,যেখানে মিথ্যা ধরা পরবেই।

রাশিদা:-রাসেল আমাকে মিথ্যা বলে হাসানোর চেষ্টা করিস না কেননা তুই যার সামনে মিথ্যে বলতেছিস তার কিন্তু সত্য মিথ্যা বোঝার বিশেষ ক্ষমতা আছে।

রাসেল এবার আর চুপ করে থাকতে পারলো না,মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে হাও মাও করে কান্নায় ভেঙে পরে।

রাসেল:-মা বলতে পারো এমনটাই আমার সাথে কেনো হয়,দুনিয়ায় কি আর কোনো মানুষ নেই।

রাশিদা:-দেখবাবা যেই মানুষ টাকে আল্লাহ বেশি ভালোবাসে বা পছন্দ করে শুধু তার সাথেই এমনটা বেশি করে কারণ তাকে পরিক্ষা করে ধৈর্য্য ধারণকরার ক্ষমতা পরিক্ষা করেন।

রাসেল:-হুম মা আচ্ছা আমার মাথায় একটু বেলি কেটে দাও খুব করে ঘুমাতে ইচ্ছে করতেছে।

রাশিদা চৌধুরী আর কথা না বাড়িয়ে নিজের কোলে মাথে নিয়ে হাত বুলাতে থাকে,রাসেল আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে যায়,নেই কোনো দুঃখ নেই কোনো কষ্ট,ইশশশশশ সারাজীবন যদি এভাবেই ঘুমিয়ে থাকা যেতো,তাহলে কষ্ট নামক বস্তু স্পর্শ করতে পারতো না,এইদিকে নিধি ও কাদতে কাদতে সেখান থেকে চলে আসে,কেনো কাদলো সেইটা গোপন থাকলো,আমাকে মনে করিয়ে দিয়েন আমি পরে সুন্দর করে বলে দিবো কেমন,এখন চলে গল্পের আগের কাহিনি শোনা যাক,নিধি বাড়িতে এসেই রাসেলের ফোনে বার বার ম্যাসেজ সাথে কল একের পর এক দিয়েই যাচ্ছে,কিন্তু রাসেল কোনটাই ধরছে না,বরং আরো বেশি করে রাগ হচ্ছে,রাসেল রাগকে কন্ট্রোল করতে না পেরে ফোনটাকেই একটা আচার মারে,কিন্তু কষ্টের বিষয় হলো ফোনের কিছুই হয়না,কেননা ফোনটা খাটের উপরে পরেছিলো,এইদিকে।।।

                     ✍।।।।।।।।।।।।।।।।✍
   🌺❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣🌺
         - আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম-
         -ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে-
           -সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন-
                    ✍।।।।।।।।।।।।।।।।।।।✍
                       ........চলবে........
         🌺,আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো প্রকার ভুল ক্রটি হয়,তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,কেননা ভুল না করলে জীবনে কিছু শেখা যায় না🌺
                               💖💖💖
        🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post