ডিবোর্সি খালাতো বোন পর্ব ৫বা শেষ

#ডিবোর্সি_খালাতো_বোন
#পর্ব_৫বা_শেষ 
#writer_sinno  (কপি করা একদম নিষেধ)

এখানের ছোট একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি নিলাম।পাশাপাশি অনলাইন বিজনেস টাও ভালোই চলছে।

 ভার্সিটিতে এখন কয়েক জন বন্ধু ও হয়েছে। তার মধ্যে রিমা নামে একটা মেয়ে আমার বেস্টফ্রেন্ড।কারণ আমার সকল সমস্যায় সবার আগে রিমা এগিয়ে আসে। 

মাঝে মধ্যে ওকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই।ওই আমার একমাত্র বন্ধু যাকে আমি আমার অতীত সম্পর্কে বলেছি।

মাঝে মাঝে কোন মেয়ে আমার সাথে কথা বলতে আসলে। ও আমাকে সেখান থেকে টেনে নিয়ে যাবে।মোটকথা কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে দিবে না।শুধু আমাদের সাথে থাকা সাথি আর পারিসার কে কথা বলতে দিবে। 

আমি ওকে কিছু বলতেও পারি না।আর এইজন্যই আমার সবচেয়ে বেশি ভয় হয়।ও কবে না কি করে ফেলে।একদিন আফিয়া নামে একটা মেয়ে আমার কাছে নোট দেখতে আসলে, রিমা আফিয়ার সামনে এসে বলে," আফিয়া কি করিস ওর সাথে?"
আফিয়াঃ নোট দেখছি রে।
রিমাঃ (আচ্ছা) এই নে,নোট খাতা প্রয়োজন হলে এটা নিয়ে যা,তবুও কখনো নিলয়ের পাশে আসবি না।
আফিয়া মাথা নিচু করে চলে যায়।

ওই দিকে জেরিনের শরীরের অবস্থা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ঠিক মতো যত্ন নেয় না।সারাক্ষণ মনমরা হয়ে থাকে। আম্মুও ওকে দেখে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়।জিজ্ঞেস করলেও কিছু বলে না।

তাই আম্মু একদিন রাতে ওর রুমে যায়।ওর রুমে গিয়ে পিছন থেকে দেখে নিলয়ের ছবি মোবাইলে বের করে কান্না করছে। আম্মু পিছন থেকে বলে ওঠলো," জেরিন,তুই কান্না করছিস কেন?"
জেরিনঃ (তাড়াতাড়ি চোখ মুছে স্বাভাবিক হয়ে) কি বলছো খালামনি?
আম্মুঃতুই আমার কাছে লুকানোর চেষ্টা করছিস? আর ওই খারাপ ছেলেটাকে মোবাইলে নিয়ে কান্না করছিস কেন?
জেরিন আর কিছু না ভেবে কান্না করে বলে, " খালামনি,ওকে তুমি আর কখনো খারাপ বলবে না,প্লিজ। আমার জন্য ও আজ তোমাদের থেকে অনেক দুরে।প্লিজ, খালা মনি তোমার যা ইচ্ছে শাস্তি আমাকে দাও।তবুও ওকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করো না।
আম্মুঃ কি বলছিস, তুই? আমার মাথায় তো কিছুই আসছে না।

এরপর জেরিন আম্মু কে সব বললো।আর তার এই অবস্থার জন্য যে, সে নিজেই দায়ী।আম্মু জেরিনের এই অবস্থা দেখে আর কিছুই ওকে বললো না।ওর কান্না দেখে উল্টো ওকে সান্ত্বনা দিচ্ছে।

এভাবেই কেটে গেল ভার্সিটি জীবন টা।মাঝে মাঝে মায়ের কথা মনে পড়লে রাতে অনেক কান্না করি।কখনো মন খারাপ থাকলে রিমা অনেক দ্রুত বুঝে যায়। আর ও আমার মন ভালো করার চেষ্টা করে যায়। 

অনলাইন বিজনেস থাকলেও কিছু একটা প্রোফেশনালি ভাবে করতে চাই। তাই একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সিদ্ধান্ত নিলাম। রিমাও আমরা সাথে  জব করবে।তাই এক কোম্পানিতেই আবেদন করে যাচ্ছি। অবশেষে, দুজন ই একটা কোম্পানি তে জব হয়ে গেল। 

দুজনেই কোম্পানির একই পোস্টে আছি।ভালোই আমাদের জব চলছে। রিমার সাথে এক সাথে যাওয়া আসা ঘুরা ইত্যাদি সব ভালো চলছে। ভার্সিটি জীবনের মতো রিমার আচরণ একই আছে। কোন মেয়ে কলিগ কোন হেল্প চাইতে এলে,রিমা তাদের সাথে বাজে ব্যবহার করে। 

একদিন টিফিন টাইমে,একটা মেয়ে খুব বিপদে পড়ে আমার কাছে কিছু টাকা ধার চাইতে আসে।তখনই রিমা এসে ওকে বাজেভাবে অপমান করতে শুরু করল।আমি আর সহ্য করতে না পেরে ওর গালে থাপ্পড় মেরে দিলাম। 

রিমা কান্না করতে করতে ছাদে চলে গেল। তারপর মেয়ে টিকে টাকা ধার দিয়ে অফিসে চলে গেলাম। হঠাৎ রিমার কেবিনের দিকে চোখ গেল আর তখনকার ঘটনা মনে পড়লে আমি আর এক মুহূর্ত ওখানে না দাঁড়িয়ে ছাদে চলে গেলাম। 
গিয়ে দেখি রিমা এককোনে দাড়িয়ে কান্না করছে।আমি পিছন থেকে ওর কাদে হাত রাখি।রিমা পিছন ফিরে তাকালে আমি বলি," রিমা সরি,তুই এমন করিস কেন? অন্যের সাথে কথা বললে।আমি তো তোকে সবচেয়ে কাছের বন্ধুভাবি।কখনো তোর কাছে কিছু লুকাইনি।

রিমাঃ তুই কিছু বুঝিছ না।তোকে যে আমি কতো ভালোবাসি।(কান্না করে) 

এতোদিন যেই কারণে ভয় পেতাম আজ সেটাই হতে লাগলো। আমি কিছু টা ভয় পেয়ে বললাম," রিমা,  তুই এগুলো কি বলছিস?"
রিমাঃ হ্যা!হ্যা! আমি তোকে ভার্সিটি থেকে ভালোবাসি।তুই বুজিস না কেন?তোর পাশে কোন মেয়ে দেখলে যে আমি সহ্য করতে পারি না। তা তুই বুঝিস না?
আমিঃ রিমা,আমি কখনো তোকে ওই চোখে দেখিনি।
রিমাঃ এখন থেকে দেখবি।
আমিঃ আমি এটা কখনো করতে পারবো না,রিমা।তুই যদি এ রকম কিছু চিন্তা করিস। তাহলে আমাদের বন্ধুত্ব টাও টিকিয়ে রাখা সম্ভব না।আমি কখনো তোর সাহায্য অস্বীকার করতে পারব না।

এ বলে চলে গেলাম কেবিনে। হঠাৎ স্যারের ডাক। স্যার আমাকে খুবই পছন্দ করেন কারন বর্তমানে অফিসের যে পেজেন্টশন দেন সে ছুটিতে আছেন তাই আমি এখন পেজেন্টশন দেই।

স্যারের কেবিনের সামনে এসে," স্যার আসবো?"
স্যারঃ ওহ নিলয়,এসো।চেয়ারে বসো।

যেই জন্য তোমায় ডেকেছি।কাল আমাদের কোম্পানির একটা নতুন ডিল হতে যাচ্ছে। তুমি ওই পেজেন্টেশন টা দিবে।তোমার ওপর আমার ফুল আত্মাবিশ্বাস আছে। আর আমি জানি তুমি এটা পারবে।এবং সফল ও হবে।

আমিঃ জ্বি স্যার, আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করব। আপনার কথা রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
স্যারঃ হুম, এখন কালকের জন্য প্রস্তুতি নাও।

আমি তারপর বাসায় চলে আসলাম। তারপর অনলাইনের বিজনেস টাতে কিছু টা সময় দিয়ে শুয়ে পড়লাম। রিমার কথা খুবই মনে পড়ছে। মেয়ে টা আমাকে অনেক ভালোবাসেছে কিন্তু আমি তো একটা বিবাহিত ছেলে যার বাবা মার কাছে অপরাধী হয়ে গেছি।এতো দিন হয়তো জেরিনের বিয়ে হয়ে সন্তানও হয়ে গেছে। আসলে বাল্যকালের ভালোবাসা তো তাই মনে পড়ে।যতই ভুলতে চাই,ততটাই বেশি মনে পড়ে।

ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম। একটু লেটও হয়ে গেছে। তারাতাড়ি কিছু না খেয়ে রেডি হয়ে অফিসে চলে গেলাম। একটুপর পিউন এসে বলে," স্যার,আপনার জন্য সবাই মিটিং রুমে অপেক্ষা করছে"।

তাড়াতাড়ি মিটিং রুমে চলে গেলাম। নিজের ল্যাপটপ টা নিয়ে, এরপর স্যারে একজন মহিলা ও একটা ছেলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিও।কিন্তু কথা হলো মেয়েটি পর্দা করাছিল।আবার চশমাও পড়াছিল।তাই তার মুখটা দেখতে পাইনি।আমি আর কিছু না ভেবে পেজেন্টেশন শুরু করলাম। কিন্তু একটা ব্যাপার হলো মহিলাটি চশমা দিয়ে আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। চোখের পলকও পড়ছে না।

মিটিং শেষ হলে, আমি কেবিনে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পর, স্যারের ডাক আসলো।আমি তার কেবিনে চলে গেলাম। 
আমিঃ জ্বি,স্যার।বলুন। 
স্যারঃ নিলয়,আমরা ডিলটা পেয়ে গেছি।কিন্তু একটা কথা হলো তাদের সাথে তোমার কাজের জন্য তোমাকে  চায় আর বাকি টা আমাকে সিলেক্ট করতে বলেছে।আমি বলি,বাকি সদস্য তুমি সিলেক্ট করে নিও।

আমিঃ ওকে স্যার।
স্যারঃ তোমার সাথে ওই কোম্পানির এমডি দেখা করতে। গেস্ট রুমে অপেক্ষা করছে।

আমি কিছু টা ভাবনায় পড়ে গেলাম। আমার সাথে আবার তার কি কথা আছে। অতঃপর গেস্ট রুমে চলে গেলাম। আমি রুমে ডুকতেই অবাক, এতো জেরিন। আমার সাথে ওর আবার কি কাজ থাকতে পারে। আর ও কেনই বা আবার আমাকে সিলেক্ট করলো।জেরিন আমার দিকে করুন চাহনির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। 
আমি স্বাভাবিক হয়ে বললামঃ জ্বি, ম্যাম। আমাকে কি বলবেন? 
জেরিনঃ কেন? ডাকলে সমস্যা আছে?
আমিঃ বেশি কথা না বলে,সোজা কথায় আসুন। 
জেরিনঃ তুমি আমাদের ফেলে এখানে আসছো কেন?
আমিঃ সরি, আমি আপনাকে চিনি না।এখন আসি।
জেরিনঃ ও তাই এতো এটিটিউট। বেশি এটিটিউট নিয়ে লাভ নেই। তোমাকে আমার নিয়ন্ত্রণে থেকে কাজ করতে হবে।
আমিঃ প্রয়োজনে চাকরি ছেড়ে দিব।কিন্তু কোন  মিথ্যাবাদীর অধীনে কাজ করতে পারব না।

এটা বলে সোজা, স্যারের রুমে চলে গেলাম। স্যার," আমি তাদের সাথে কাজ টা করতে পারব না।
স্যারঃ কেন?
আমিঃ দেখুন স্যার,তাদের সাথে আমার বোঝাপোড়া ঠিক ভাবে হবে না।আপনি বরং আমার জায়গায় অন্য কাউকে দায়িত্ব টা দিন।

স্যারঃ দেখ নিলয়, আমি তোমাকে একজন যোগ্য ব্যক্তি বলে দায়িত্ব টা দিয়েছি।আর তোমার মতো ভালোভাবে অন্য কেউ এটা হ্যান্ডেল করতে পারবে না।

স্যারের অনেক জোরের কারণে অবশেষে আমি রাজি হলাম।তারপর অফিসের কাজ শেষে বাসায় চলে আসি।রিমা ও আমার সাথে কোন কথা বলে না।আমিও নিজ থেকে কথা বলতে যাই না।
ডিলটার কাজ শুরু করার জন্য টিম গঠন করব।কিন্তু রিমাকে নিয়ে একটু দিধায় আছি ওকে নিব নাকি না।তাই নিজ থেকে ওর জন্য কথা বলতে ক্যান্টিনে চলে গেলাম। সোজা ওর পাশে গিয়ে বসলাম। 
আমিঃ কি খাবি?
রিমাঃ ওই তুই আমার সাথে কথা বলছিস কেন? 
আমিঃ আমার বেস্টুর সাথে কথা বলছি। তাতে তোর কি?
রিমাঃ কে তোর বেস্টু, হুম?
আমিঃ রিমায় গো।
রিমাঃ যা কুত্তা। তুই আমাদের বন্ধুত্ব ভেঙে দিয়েছিস।আমার সাথে কথা ও বলা বন্ধ করে দিয়েছিস।
আমিঃ আচ্ছা, বাবা।এখন তো বন্ধু?
রিমাঃ কি আর করার তোর বউ তো হতে পারলাম না।তাই বেস্টুই ভালো।

এরপর আমাদের একটা টিম বানিয়ে ফেললাম। আর নতুন একটা প্রোজেক্টের কাজের জন্য হাত দিলাম। জেরিন ও আমাদের সাথে জয়েন করে।
আমি আমার মতো কাজ করে যাচ্ছি আর অন্যদিকে জেরিন ওর মতো কাজ করছে।মিটিং এর সময় আমি অন্য দিকে তাকিয়ে শুধু শুনি। 

অফিস শেষে হঠাৎ জেরিন আমার কেবিনে আসে। 
আমিঃ ম্যাম,আমার কেবিনে আপনি?
জেরিনঃ কে তোর,ম্যাম?
আমিঃ আপনি.
জেরিনঃ একদম চুপ আর একটা কথা বলবি তো তোকে মেরে এতো দিনের কষ্ট পুশিয়ে নিব।
আমিঃ মানে..... 
এবার জেরিন আমার কাছে এসে।কলারটা ধরে, "ওই তুই আব্বু আম্মু কে ফেলে আসছিস কেন?"
আমিঃ আমার আব্বু আম্মু নেই। 
জেরিনঃ একদম মেরে ফেলবো।তোর জন্য তিনটা মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। তোর জন্য জন্য আম্মু অনেকটা অসুস্থ সারাদিন তোকে নিয়ে ভাবে।আর আমিও তোর জন্য তাদের কাছে অপরাধী হয়ে আছি।প্লিজ, ফিরে চল।আম্মু তোর অপেক্ষায় আছে। 
আমিঃ আমার কেউ নেই, আপনি যান।
এবার জেরিন আমার পায়ের কাছে বসে পরল।আমার পায়ে ধরে কান্না করে বললো, " প্লিজ, নিলয় তুই এবার ফিরে চল।তোর জন্য এখনো প্রতিটা রাতে তোর ছবি বুকে নিয়ে কাদি।তোদের বিসনেসও আমি দেখাশোনা করছি।আব্বুও এখন বিসনেস সামলাতে পারছে না।তাই বাধ্য হয়ে তোর কাজটা আমি পালন করে যাচ্ছি। ওইদিনের পর থেকে কোন ছেলের সাথে কথা বলা তো দুরে নিজের চেহারাটাও দেখাই না। আমি তোকে অনেক ভালোবাসি অনেক।ওই দিনের চিঠিটা পড়ার পর,সারাক্ষণ শুধু তুই এই মনে থাকতি। যদি আমাকে তোর স্ত্রী অধিকার না দেস এতে আমার দুঃখ নেই। প্রয়োজনে  আমি তোর বাড়ির কাজের লোক হয়ে থাকবো। তারপর ও ফিরে চল।যে নিখিল তোর সাথে এরকম টা করেছে ও গাড়ি এক্সিডেন্টে ওর পা হারায়। 

আমিঃ আমি বিয়ে করে ফেলছি।এখন আমার সংসার আছে। আপনি আপনার পথ দেখে নিন।

এটা শুনে জেরিন আমার পা ছেড়ে ফ্লোরে বসে পরল। কিছুক্ষণ পর নিজেকে সামলে জেরিন  বললো," আচ্ছা, ঠিকাছে। তবুও আপনি আপনার আম্মু আব্বুকে দেখে আসবেন।আর আপনাদের কোম্পানির দায়িত্ব নিন।"

আমি ওর আপনি করে বলা দেখে অবাক। মেয়েরা এতো তাড়াতাড়ি বদলে যায় সত্যি এরা অনেকটা কাতর।
আমিঃ একটা সত্য যেতে পারি,তাহলো এই প্রজেক্টের কাজ পর্যন্ত আপনাকে বিজনেস সামলাতে হবে।
জেরিনঃ আচ্ছা, ঠিক আছে চলুন।

একটুপর জেরিনের সাথে বাসার উদ্দেশ্য চলে গেলাম। আসলে বাবা আমি আসার চলে যাওয়ার পর, কোম্পানির শহরের শাখায় চলে আসে। 
জেরিনের সাথে বাড়ির ভিতরে ঢুকলাম। এই বাসাটাও অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। প্রথমে আব্বু আম্মু র রুমে গেলাম।বাবা আমাকে দেখে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তাই মায়ের পাশে বসে, তার হাত ধরতেই মা জেগে ওঠে। 
আমিঃ মা,কেমন আছো?
মাঃ বাবার ওপর রাগ করে মাকেও ভুলে গেছিস,বাবা।(কান্না করে)
আমিঃ মা আমারও যে মনটা তোমায় দেখার জন্য ছটফট করতো।কিন্তু আমার হাত পা যে বাধা ছিল। 
মাঃ বল,আর কখনো আমাকে ছেড়ে যাবি না।প্রয়োজনে তোর বাবা কে ফেলে তোর সাথে চলে যাব।তারপর ও একা যাবি না।
আমিঃ ঠিকাছে, আম্মু তোমায় ছেড়ে কোথাও যাব না।
এরপর আব্বুর কাছে গেলাম। 
বাবাঃ আমার প্রতি তোর  এতো অভিমান জমে আছে যে নিজের মায়ের কথাও ভুলে গেছিস? 
আমিঃ ক্ষমা করে দাও, বাবা।আমি তোমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছি।

এরপর মা বাবা কে বললাম, একমাস পর আমি তোমাদের কাছে চলে আসব।
যদিও তারা রাজি ছিল না।পরে কষ্টে তাদের রাজি করে চলে গেলাম আমার বাসায়। এটা করার কারণ টাও বুজতে পারবেন।

জেরিনের কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে, " রিমা,শোন।আমরা না ৪ টা সন্তান নিব। দুইটা মেয়ে আর ২টা ছেলে। "
রিমাঃ আমি এতোগুলো পারবো না।বেশি হলে বরং একটা তোমার মতো কিউট ছেলে।
আমিঃ একদম তা হবে না।

এরপর রিয়াকে চলে যেতে বললাম। জেরিনের কেবিনে এসে," ম্যাম,আসব?"
জেরিন কেবিন থেকে ওঠে, " জ্বি, বলুন।"
জেরিনের দিকে তাকিয়ে দেখি,মুখটা একেবারে শুকিয়ে আছে মনে চাচ্ছে ওই শুকনো ঠোঁট দুটি ভিজিয়ে দেই।চোখ দুইটাও লাল হয়ে গেছে। 
আমিঃ এই ফাইল গুলো ম্যাম।
জেরিনঃ আচ্ছা, এখানে রেখে যান।

আমি কেবিন থেকে বের হয়ে গেলাম।
এখন জেরিনের সামনে রিমাকে নিয়ে অনেক ভালোবাসার অভিনয় করি।আর জেরিন দেখতাম আড়ালে চোখ মুছতো।

একদিন রিমা এসে বললো,"নিলয়,জেরিন ফ্লোরে পড়ে আছে। "
আমি তাড়াতাড়ি ওর রুমে গিয়ে দেখি বোরকা পড়া দেহটা পড়ে আছে।আমি তাড়াতাড়ি ওকে কোলে করে হসপিটালে নিয়ে গেলাম।

ডাক্তার ওর রুম থেকে বের হলে বলি,ডাক্তার ওর কি হয়েছে? 
ডাক্তারঃ চিন্তা নেই। ঠিকমতো না খাওয়া আর শরীরের প্রতি অবহেলার জন্য এরকম হয়েছে। 

ভাবলাম না আর ওকে কষ্ট দিব না।আমি চলে যাবার পর থেকে ও নিজেও কষ্ট পেয়েছে। একজন মেয়ে হয়েও বিজনেস টা সামলিয়েছে।তারপরও ওকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। 

অতঃপর ওকে বাড়ি নিয়ে গেলাম। আম্মু কে সব খুলে বললাম।এতে আব্বু আম্মু ও প্রথমে রেগে যায়।অতঃপর আমাদের বিয়েটা আবারও  দেওয়া হলো।

বাসর ঘরে বউয়ের কাছে ঘুমটা তুলতেই বউ আমায় খাটের ওপর ফেলে বুকের ওপর ওঠলো," ওই কার যেন ৪ টা বাচ্চা নিবি।২টা ছেলে আর ২ টা মেয়ে রিমার সাথে তাই না।আজ তোকে.........বরিশালের গন মাইর।
আমিঃ বিধবা হয়ে যাবা কিন্তু। 
জেরিনঃ চুপ!  এখন আদর করব।
আমিঃ তাহলে কর।
জেরিনঃ বাতি. নিভাবে না।নয়তো ওরা দেখবে তো.....
আমিঃ আচ্ছা, ভাই বোনরা এবার চলে যান।আমার কুত্তী টা শরম পাচ্ছে  

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।গল্পটি কোন বাস্তব  নয়।
আপনাদের পাঠকদের কাছে শুধু একটা কমেন্ট, লাইক আর যারা আমার গল্প কপি করে তাদের কে একটু আদর করে দেওয়া প্রত্যাশা করি।
ধন্যবাদ সক্কল প্রিয় গল্প পাঠকদের ❤️❤️❤️
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post