#অবহেলিত_প্রেমিক_যখন_বিমান_বাহিনীর_বড়_অফিসার🦋
⏪ ⏪লেখখ:রাসেল"কালো ভূত⏩ ⏩
---------৬ পর্ব--------
⏪⏩▶
⏩▶
🎤রাসেলের কলিজায় একটা মচড় দিয়ে ওঠে,আহানার মাকে দেখে,কেনো যে এমনটা হলো সেটা এখনো অজানা।
রাশিদা:-আহানা এই ছেলেটা কে,আমাদের বাড়িতে তো আগে কখনো দেখিনাই।
আহানা:-আম্মু এ হলো রাসেল আমার ভাইয়া,কালকে যার কথা তোমাদের বললাম।
রাশিদা:-ওহহহহ আচ্ছা বুঝতে পারলাম,তা বাবা রাসেল তুমি কেমন আছো।
রাসেল:-আমি অনেক ভালো আছি,আপনে কেমন আছেন।
রাশিদা:-এইতোমার তো সাহস কমনা হুম।
রাশিদা চৌধুরী চোখ বড়করে কথাটা বলে,রাসেল তো ভয়ে চুপসে গেছে,তাই কিছুই বলেনা।
আহানা:-আম্মু তুমি ভাইয়াকে এইভাবে বকতাছো কেনো শুনি।
রাশিদা:-রাসেল তোর ভাইয়া হলে আমার তো ছেলে হলো তাইনা,তাহলে ও আমাকে আম্মু বলে ডাকলোনা কেনো।
রাসেল তো অনেকটাই অবাক রাশিদা চৌধুরীর কথা শুনে,এতটা আপন করে কেউ কিভাবে নিতে পারে।
রাসেল:-আচ্ছা আম্মু আমার ভুল হয়েগেছে,আসলে আম্মু শব্দটা কখনো ডাকার সৌভাগ্য আমার হয়নি তাই অভ্যাস নেই।
রাশিদা:-তোর কথা তো আমি একটু বুঝতে পারলাম না।
আহানা:-আম্মু ভাইয়া এতিম,ওর বাবা মা ভাই বোন কেউ নেই।
রাশিদা:-কে বলছে ও এতিম হুম,আমরা আছিনা,আর বাবা তুই একদম চিন্তা করবিনা,এখন খেয়েনে।
রাসেল খেতে বসে যায়,আহানা বেড়ে দিচ্ছে আর মিসেস রাশিদা চৌধুরী পাশেই দাঁড়িয়ে এটা ওটা দিচ্ছে,রাসেল রাশিদা চৌধুরীর মুখের সামনে একলোকমা খাবার তুলে ধরে,রাশিদা চৌধুরীর চোখে জল এসে যায়,কেননা এইভাবে কখনো খাইনি তো তাই,রাশিদা চৌধুরী খেয়ে নেয়।
আহানা:-আমি যে কারো বোন সেইটা কি কেউ মনে রাখে(অভিমানি শুরে)
রাশিদা:-নে এবার আদুরে বোনকে সামলা।
রাসেল:-নে পেত্নে হা কর।
রাসেল পেত্নি বলাতেই তো আহানা লুচির মতো ফুলতে থাকে,রেগে ফায়ার হয়ে যায়।
আহানা:-ভাইয়া তুই আমাকে পেত্নি বললি,তুই পেত্নি তোর বউ পেত্নি।
রাসেল:-হাহাহা ছেলেরা কিভাবে পেত্নি হয় শুনি,আর আমার তো বউ নাই তাই তুই তাকে পেত্নি বলেও লাভ নাই।
আহানা:-যা তোর সাথে কোন কথা হুম।
আহানা অন্য দিকে মুখ গুরিয়ে কথাগুলো বলে,রাসেল খাবার ওর মুখের সামনে নিয়ে বলে।
রাসেল:-নে হা কর।
আহানা:-খাবোনা আম তুই খা।
রাসেল:-আম্মু ফুচকা যেনো কোথায় পাওয়া যায়,চলনা আমি আর তুমি যেয়ে খেয়ে আসি,তবে যদি কেউ যেতে চাই সাথে তাহলে যেতে পারে।
আহানা:-ভাইয়া আমি যাবো,ফুচকা কতো মজা।
আহানার কথা শুনে রাসেল ও রাশিদা চৌধুরী হো হো করে হেসে ওঠে।
রাসেল:-নে আগে খেয়েনে,পরে নাহয় ঘুরতে নিয়ে যাবো তোকে কেমন।
আহানা রাসেলের হাত থেকে খাবার খেয়ে নেয়,আর রাসেলের গলা জড়িয়ে ধরে বলে।
আহানা:- এইতো আমার আদোরের লক্ষি ভাইয়া।
এইভাবে হাসি ঠাট্টার মাঝেই খাবার পর্ব শেষ করে ছোফায় বসে কথা বলতে থাকে,তখনি রাশিদা চৌধুরীর ফোনে আহানার বাবা কল দেয়।
রাশিদা:- আসসালামুয়ালাইকুম।
রফিকুল:- ওয়ালাইকুমাসালাম,রাসেলের সব কাগজপত্র ইমেইল করে দাওতো।
রাশিদা:-রাসেলের কাগজপত্র মানে তো আমি কিছুই বুঝলাম না(অবাক হয়ে)
রফিকুল:-রাসেল কে বিমান বাহিনীর চাকরিতে ডুকিয়ে দিমু,তাই ওর কাগজপত্র ইমেইল করে দাও আমাকে।
রাশিদা:-আচ্ছা দিচ্ছে দাড়াও তুমি।
রাশিদা চৌধুরী কল কেটে দিয়ে রাসেলের থেকে সব কাগজপত্র নিয়ে রফিকুল চৌধুরী কে ইমেইল করে দেয় ছবি সহ।
রাশিদা:-রাসেল তুই তাহলে আহানার কলেজে ভর্তি হয়ে পড়াটা শেষ কর।
আহানা:-কি মজা কি মজা আমি ভাইয়ার সাথে কলেজে যাবো।
রাসেল:-থাক আর পড়াশোনা করবোনা,সবাই এতিম ক্ষেত ছোটলোক বলে অপমান ছাড়া কিছুই বলেনা।
আহানা:-আমার ভাইকে এইসব বলবে এতো বড় সাহস এই শহরের কারোই নেই,তবে গুন্ডাদের কথা বাদ।
রাসেল:-হাহাহা এখনি না বললি কেউ কিছু বলবেনা তাহলে ভয় পাচ্ছিযে।
আহানা:-ভয় পাবো তাও আবার আমি হুম,তোর বোন হয় আমি বুঝলি নো ভয়।
রাসেল:-হয়ছে আর বলতে হবেনা।
রাশিদা চৌধুরীর আদেশ পেয়ে আহানা রাসেল কে নিয়ে একটা রুম দেখিয়ে দেয়,রুমটা অনেক সুন্দর করে সাজানো গুছানো।
রাসেল:-আচ্ছা আহানা এই রুমটা এতো সুন্দর করে সাজানো গুছানো কেনো,এখানে কি কেউ থাকে।
আহানা:-আসলে আমার একটা ভাই ছিলো ছোট বেলাই নাকি হাড়িয়ে গেছে,তাই আম্মু এই রুমটা ভাইয়ার জন্য প্রতিদিন সাজিয়ে রাখে যদি ভাইয়া কখনো ফিরে আসে এটা ভেবে।
আহানার চোখে নোনা পানি ভরকরে,সেটা মুছতে যাবে অমনি রাসেল আহানার চোখের পানি মুছে দেয়।
রাসেল:-কাদিসনা দেখবি আল্লাহ একদিন তোর ভাইকে ঠিকই তোদের কাছে ফিরিয়ে দিবেন।
আহানা:-আচ্ছা তুই ফ্রেস হয়ে একটু রেস্ট নে আমি বরং নিধিকে একটু জ্বালিয়ে আসি।
রাসেল:-ওহহহহ তার মানে তুই এখন পরী ম্যাডাম কে জ্বালানোর জন্য যাচ্ছিস।
আহানা:-হুম আর নিধিকে এদম রাগাস না তাহলে কিন্তু তোকে ইনজেকশন দিবে।
রাসেল:-মানে তো কিছুই বুঝলাম না ইনজেকশন দিবে কেনো।
আহানা:-নিধি হলো ডাক্তার,হয়নি তবে আর একবছর পরে হবে।
রাসেল:-ওহহ আচ্ছা বুঝলাম,আচ্ছা সাবধানে যাইস কেমন আর বেশি রাগিয়ে দিসনা তাহলে।
আহানা:-হাহাহা হুম আর নিধি অনেক লক্ষি একটা মেয়ে,আম্মু তো ওকে ছেলের বউ বলেই ডাকে।
রাসেল:-বাবারে বাবা বলিস কি এটা,ছেলে নাই পাশে আর এইদিকে বউমা খোঁজা শেষ।
আহানা:-হুম আচ্ছা তুই থাক আমি গেলাম।
রাসেল আর কথা না বলে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে ভাবে,কোথায় ছিলো আর এক মূহুর্তের মাঝেই কোথায় আসলো,ইসরাতের কথা বড্ড বেশি মনে পরছে রাসেলের,রাসেল মনটাকে শক্ত করে ইসরাতের কথা ভুলে অনেক কষ্ট ঘুমকে নিজের বসে আনে,মানে ঘুমের দেশে পারি জমাই,এইদিকে ইসরাত বার বার মোবাইল হাতে নিয়ে চেক দেয় রাসেল কলবা মেসেজ দিছে নাকি,কিন্তু বার বার হতাশ হয়ে ফোন রেখে দেয়,ইসরাতের এখন একটুও ভালো লাগেনা শুধু রাসেলের কথা বার বার মনে পরছে,ইসরাত কলেজে চলে আসে,দেখে রাইসা ও রাফি আগেই বসে আছে কিন্তু রাফির মোনটা খারাপ।
ইসরাত:-রাইসা কেমন অছিস তোরা।
রাইসা:-ওহহহহ তুই আই বস,আর কেমন থাকি বল,মনের মানুষ টার কষ্ট দেখে কি আর ভালো থাকা যায়।
ইসরাত:-কেনো রাফি ভাইয়ের আবার কি হলো শুনি।
রাইসা:-ওর মনটা খারাপ রাসেল ভাইয়ের সাথে কোনো যোগাযোগ করতে পারেনি।
রাইসার কথা শুনে ইসরাত অনেক টাই অবাক হয়ে যায়।
ইসরাত:-মানে রাসেল আবার কোথায় যাবে কলেজে আসেনি এখনো।
রাফি:-না ওর ফোনটাও কাল থেকে বন্ধ,কোনো খবর পাচ্ছিনা,তোমার কারণে আমার বন্ধুর কিছু হলে আমি তোমাকে ছেড়ে কথা বলবোনা বলে দিলাম।
ইসরাত কি বলবে ভেবে পায়না ওর চোখে ও আজ পানি,যেই মেয়েটার চোখে কাল অবদি পানি ছিলোনা আজ এতিমটার জন্য তার চোখে পানি।
ইসরাত:-আমি বুঝতে পারিনি এমনটা হয়ে যাবে,ওতো এমনটা আগে কখনো করেনি আমি তো কতো কিছু বলেছি।
রাইসা:-তুই কি মনে করিসনা যে কালকে যেটা করেছিস সেটা একটু বেশিই ছিলো।
ইসরাত:-হুম কালকে অবহেলার পরিমাণ টা একটু বেশিই ছিলো।
রাইসা:-আচ্ছা রাফি রাসেল ভাই যেখানে থাকতো তুমি কি সেটা চেনো।
রাফি:-হুম চিনি তো ঐ বস্তিতে থাকে।
রাইসা:-তাহলে চলো আমরা বরং গিয়ে দেখে আসি ভাইয়া অসুস্থ হয়ে বাসাই বসে আছে নাকি অভিমান করে ফোন বন্ধ রেখে।
রাফি:-হুম চলো তাহলে।
ইসরাত:-আমিও যাবো তোমাদের সাথে প্লিজ মানা করোনা।
রাফি:-আচ্ছা চলো।
তারপর ওরা তিনজন রাসেল যেখানে থাকতো সেখানে চলে আসে,রুমে ঢুকেই দেখতে পায়,ঘরে চকি পযর্ন্ত নেই শুধু মাটিতে একটা পাটি বিছানো তার পাশেই ভাঙাএকটা টেবিলে গুছিয়ে রাখা কয়েকটা বই,এক কোণায় একটা মোবাইল সিম আর সাধা কাগজ পরে থাকতে দেখে রাফি হাতে নেয়।
রাইসা:-কি এইটা।
রাফি:-ওকে এইসিম আর মোবাইল টা আমি কিনে দিয়েছিলাম কথা বলার জন্য।
ইসরাত:-কাগজটা খুলে দেখেন কি লেখা অছে।
রাফি:-হুম সেটাই দেখি আমার বন্ধু কি লিখেছে।
রাফি কাগজটা হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করে।
রাসেল:-দোস্ত প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,যাবার আগে তোর সাথে দেখা পযর্ন্ত করতে পারলাম না,কেননা এই নিষ্ঠুর শহরটা আমার জন্য নইরে,কি করবো যার জন্যেই বেচে থাকার হাজারো স্বপ্ন দেখতাম সেইতো এই এতিমটার মুখ দেখতে চাইনা,তাইতো চলে যাচ্ছি তোদের ছেড়ে,মোবাইল টা রেখে গেলাম পারলে ক্ষমা করেদিস,আর ভালো থাকিস শেষে একটাই কথা বলবো রাইসাকে কখনো কষ্ট দিসনা,কেননা তুই আমার মতো আবার এতোটা কষ্ট সহ্য করতে পারবিনা,আর ইসরাত কে বললিস সব সময় যেনো ভালো থাকে,আর ভালোতো থাকবেই আমার মতো এতিমের মুখটা দেখহবেনা আর বিরক্ত ও হতে হবেনা,
আর লেখার ক্ষমতা হচ্ছে নারে বাই ভালো থাকিস তোরা আল্লাহ যদি বাচিয়ে রাখে তো দেখা হবে।
ইতি
এতিম ছেলে।
চিঠিটা পরেই রাফি সহ সবাই কান্নায় ভেঙে পরে,ইসরাতের কান্না যেনো থামছেইনা,দেখছে এই জন্য বলি কি থাকতে মূল দিতে শিখুন,কারণ হারিয়ে গেলে আর হাজার মুল্য দিতে চেয়ে ও কোনো লাভ হবে না।
রাফি:-ইসরাত আজকে তো তুমি অনেক খুসি তাইনা,আমার বন্ধু টাকে দূরে সরিয়ে দিয়ে,ওর একটাই দোষ ছিলো সেটা হলো তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসতো।
ইসরাত:-এইভাবে বলোনা প্লিজ আমি আগে আসলেই বুঝতে পারিন এমনটা হবেনা।
রাফি:-হুম বুঝবে কেমনে,আমার বন্ধু যে একটা এতিম ছিলো,আর সবাই কেই না কেনো অল্পতেই বিশ্বাস করে নিতো,যেইটাই অর জিবনের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে,তবে এখন তুমি মুক্ত রাসেল নামের কেউ ভালোবাসি বলে বিরক্ত করবেনা,মোবাইলে কল দিয়ে বলবেনা তোমার কথা না শুনলে ওর ঘুম আসেনা,যেই মানুষটা আমার ভালোবাসাকে কাজে এনেদেবার জন্য কতো অত্যাচার সহ্য করেছে,অথচ একটি বারের জন্য ও মুখ ফুটে তার প্রতিবাদ করেনি,আর তুমি সেই মানুষটার পবিত্র ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যে নাটক করেছো,ঠিকই বুঝবে তুমি,যেদিন কিছুই করার থাকবেনা।
ইসরাত:-এইভাবে বলবেন প্লিজ,আমি যে ওকে অনেক ভালোবাসি,কেন এমনটা করেছি যেটা আমি নিজেও বুঝতে পারিনা।
রাফি:-সেটা আর বলে লাভনেই,কারণ আমি তো আর রাসেলের মতো বোকা না আপনার মিষ্টি কথা বিশ্বাস করবো,এই রাইসা চলোতো।
রাফি কথাগুলো বলেই রাইসার হাত ধরে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়,ইসরাত সেখানেই বসে কান্নায় ভেঙে পরে,আজকে যেনো চোখের পানি বাধা মানছেনা,আজকে ঠিকই বুঝতে পারছে রাসেল ওর জিবনের কতটা জায়গা জুরে ছিলো,ওর কথা বলা বিরক্ত না বরং ভালোবাসায় জড়ানো যত্ন ছিলো।
ইসরাত:-রাসেল তুমি কেনো চলে গেলে,আমি না হয় ভুল করে কথাটা বলেছি তাই বলে তুমি চলে যাবে,একটা বারের জন্যও ভাবলে না তোমাকে ছাড়া আমি কি নিয়ে বাচবো।
ইসরাত কান্না করতে করতে সেখান থেকে চলে যায় বাড়িতে,এইদিকে রাসেল ঘুমথেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নিচে এসে দেখে ওর মা কাজের মেয়ের সাথে কাজ করতেছে।
রাসেল:-আম্মু কি করতেছো শুনি।
রাশিদা:-দেখছিস রান্না করতেছি তাও জিগ্গেস করছিস হুম।
রাসেল:-তোমাকে কাজ করতে হবেনা তুমি সরোতো,আমি করতেছি বুঝতে পারলে।
রাসেলের কথা শুনে রাশিদা চৌধুরী ও কাজের মেয়ে লায়লা অবাক হয়ে রাসেলের দিকে তাকিয়ে থাকে।
রাশিদা:-তুই রান্না কররি মানে কি তুই কি রান্না করতে পারিস নাকি।
রাসেল:-হুম আমি সব পারি কারণ আমি তো রান্না করেই খেয়েছি তাইনা।
রাশিদা:-না তোর কাজ করতে হবে না তোর বাবা এসে দেখলে খবর করে ছাড়বে।
রাসেল:-কিচ্ছুটি বলবেনা আমি আছিতো নাকি,আর বাবা আমার হাতের রান্না খেয়ে ভুলেই যাবে কে রান্না করেছে হুম।
রাশিদা:-বাববাহ এতো ওভার স্মার্ট,আচ্ছা রান্না কর দেখি কেমন পারে রান্না করতে আমার ছেলে।
রাসেল রান্না করতে শুরু করে,ওর কাজ দেখে কাজের মেয়েটাও যেনো অবাক হয়ে দেখেই যাচ্ছে,পাক্কা দুই ঘন্টা বাদে রাসেলের সব কিছু রান্না করা শেষ হয়ে যায়,রাসেল রান্না শেষ করে।
রাশিদা:-এতো কিছু তুই কিভাবে রান্না করতে পারিস,যেখানে লায়লা ও মনে হয় এতো কিছু রান্না করতে পারেনা।
রাসেল:-হে হে আম্মু তোমার ছেলের সব গুন আছে বুঝলে।
রাশিদা:-হুম সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি আচ্ছা তুই বরং এখন গিয়ে গোসল করে ফ্রেস হয়েনে,একটু পরেই তোর বাবা চলে আসবে।
রাসেল:-আচ্ছা আমি গেলাম উনাকে দিয়ে তুমি সব কিছু টেবিলে সাজিয়ে রাখো কেমন।
রাশিদা:-হুম সেটা নিয়ে তোর কোনো চিন্তা করতেই হবেনা,তুই গিয়ে আখে ফ্রেস হয়ে নে,,,,,,,,
✍।।।।।।।।।।।।।।।।✍
🌺❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣🌺
- আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম-
-ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে-
-সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন-
✍।।।।।।।।।।।।।।।।।।।✍
........চলবে........
🌺,আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো প্রকার ভুল ক্রটি হয়,তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,কেননা ভুল না করলে জীবনে কিছু শেখা যায় না🌺
💖💖💖
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺