পর্ব : ৯
লেখক:#মুহাম্মদ_আজিজুল
কি করিস তোরা?
ছাদে গল্প করি।
:ওহ্ আচ্ছা, বায়।
: এই আমার আব্বু আম্মুকে দেখে রাখিস বুঝলি।
অনু : আমি কি তোর বউ নাকি? যে তোর বাবা মা কে দেখে রাখবো।তোর বউকে বল বুঝলি...টু টু টু।
যাহ্ কেটে দিলো। আমি আর ওকে কলটল করলাম না । বলেছি যেহেতু দেখেই রাখবে।
আমি:অনেক রাত হয়েছে ঘুমাবে না?
লাবন্য:হ্যাঁ ঘুমাবো। দিনে একটুও ঘুমাতে পারিনি।অথচ সারা রাত জেগে ছিলাম।
তারিকুল:তাই নাকি!
আমি:ওই শালা চুপ বড়দের মাঝে কথা বলতে আসবি না।
তারিকুল:আগে বিয়ে করলেই বড় হওয়া যায় না। চল আমারো ঘুম পাচ্ছে।
আমরা তিনজন ছাদ থেকে নেমে নিচে এসে দেখি আমার শ্বশুর মানে লাবন্যের বাবা এখনো ঘুমায়নি! রাত প্রায় একটা বাজে।
আমি:আসসালামু আলাইকুম আব্বু।
: ওয়া আলাইকুম আসসালাম। তোমরা এখনো ঘুমাও নি।
আমি:না আমরা ছাদে বসে গল্প করলাম। কিন্তু এখন ঘুমাবো অনেক ঘুম পাচ্ছে।আপনিও ঘুমান বেশি রাত জাগলে শরীর খারাপ হতে পারে।
:যাও তোমরা।
তারিকুলের রুমটা ওকে দেখিয়ে দিয়ে আমরা দুজন আমাদের রুমে আসলম। খুব বেশি ঘুম পেয়েছে তাই দু-চোখ খুলে রাখতে পারছি না।
বুঝলাম না আজ এতো ঘুম আসছে কেন!
আমি লাবন্যকে বললা " তোমারো কি আমার মতো ঘুম ধরেছে।
লবন্য:না আমি তো কাল সারা রাত ঘুমিহয়েছি। এখন ঘুম ধরবে কেন?
আমি:ওহ তাহলে একটু মাথায় হাত বুলিয়ে দাও(ওর কোলের উপর মাথা রেখে)
লাবন্য:আচ্ছা। যেহেতু তুমি বলছো(আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)
কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতেই পারিনি।
আজানের আওয়াজ শুনে ঘুমটা ভেঙ্গে যায়।
তাকিয়ে দেখি লাবন্য খাটের সাথে হেলনা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে! যেমনটা দেখে ঘুমিয়ে ছিলাম।
মনে মনে ভাবলাম আজ ওর ঘুম ভাঙ্গানো যাবে না। বেচারি কাল ঘুমাতে পারেনি।
আমি মাথাটা ওর কোল থেকে আস্তে আস্তে নামিয়ে নিলাম। একি ও যে আমার হাত ধরে আছে। হাতটা আস্তে আস্তে ছাড়াচ্ছি এমন সময় বলে উঠলো " উঠেছো কেন শুয়ে থাকোনা?
আমি:আজান হয়ে গেছে তো।
লাবন্য:আগে বলবে তো । তাড়াতাড়ি ওঠো। আমিও উঠছি।
আমি:না তুমি ঘুমাও কাল তুমি ঘুমাতে পারোনি।
লাবন্য:দেখো আমরা জান্নাতেও এক সাথে থাকতে চাই বুঝছ?
আমি:ওহ তাই নাকি? যদি জান্নাতে না যেতে পারি তখন কি করবে?
লাবন্য: আল্লাহকে খুশি করাতে পারলে কখনো তিনি জাহান্নামে দিতে পারবে না।
আমি:বেশি পেকে গেছো তাই না। তুমি ওঠো আমি ফ্রেশ হতে গেলাম।
ফ্রেশ হয়ে অজু করে চলে আসলাম মসজিদে।নামাজ পড়ে বাসায় আসার পরে দেখি লাবন্য এখনো শুয়ে আছে! বললাম নামাজ পড়েছো কি?
লাবন্য:না(ঘুমের কন্ঠে)
আমি:কি তুমি নামাজ পড়োনি!
লাবন্য:ওহ হ্যাঁ পড়েছি তো।
আমি:তাহলে না বললা কেন?
লাবন্য:খুব বেশি ঘুম ধরেছে বুঝতে পারিনি।
ওহ ভালো আমিও শুয়ে পড়লাম
দেখি আমার ফোনটা বাজছে।
আমি লাবন্যকে বললাম কলটা ধরো।
লাবন্য:তুমি ধরো ওটা তোমার ফোন।
ওহ তাই তো।
আমি ফোনটা উঠিয়ে দেখি অনু কল করেছে। কলটা পিক করে বললাম আসসালামু আলাইকুম।
অনু:গুডমরনিং।
আমি:গুড মরনিং টু..।কেমন আছিস? আর এতো সকালে কিসের জন্য কল করেছিস।
অনু:ভালো আছি। আর আমি কি তোকে কল করতে পারবো না?
আমি:দেখ আমি সেটা বলিনি।
অনু:বিয়ে করলে মনেহয় সবাই এমন হয়।
আমি:বাদ দে তো এসব । তোরা কখন আসবি?
অনু:আমি তো যাচ্ছি না তোদের আনতে।
আমি:তুই না আসলে আমিও যাচ্ছি না তোদের বাসায়।
অনু:আচ্ছা আমি কি তোর বউ নাকি? যে আমার উপর অধিকার খাটাতে চাস।
আমি:দেখ, যা বলছি তাই করবি বুঝতে পেরেছিস।
অনু:বললেই হলো।
আমি:তোর মনে যা চায় তাই করিশ। বায়।
লাবন্য:কে কল করেছিল?
আমি:অনু।
লাবন্য:কি বললো।
আমি:তুমি ঘুমাও। আমি একটু বাজারে যাবো?
লাবন্য:রাস্তা দেখে চলাচল করবে।
আমি:জি।
চলে আসলাম বাজারে। হোটেল থেকে কিছু খেয়ে লাবন্যকে কল করলাম।
ও কলটা ধরলো না। আমি লাবন্য আর তারিকুলের জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসলম।
এসে তারিকুলকে ডাকলাম
তারিকুল: কি বলিস।
যা ফ্রেশ হয়ে আয় খাবি!
:আচ্ছা।
অনুর কাছে গিয়ে ডাক দিলম "মহারানি আপনার ঘুম কি ভেঙ্গেছে।
লাবন্য:জি ভেঙ্গেছে।
আমি:তাহলে কল ধরলেনা কেন? দেখোতো কতোবার কল করেছি।
লাবন্য:সত্যিই টের পাইনি।
আমি:খাবার নিয়ে এসেছি খাও,।
লাবন্য:তুমি খেয়েছো।
: হুম খেয়েছি।
আমরা তিনজন আবার ছাদে আসলাম গল্প করতে।
গল্প করে আমরা আমার রুমে এসে তিনজন একটা বেডে শুয়ে পড়লাম। ঘুমটা এমন ছিলো যে এক ঘুমে দুইটা!
ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার আব্বু, আম্মু, জুই, বর্না, অনুর আব্বু আম্মু এসে হাজির।
আমি ওদের দিকে তাকিয়ে দেখি অনু নেই। মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
আমি:আঙ্কেল অনু কোথায়?
আঙ্কেল:ওইতো দরজার বাইরে।
আমি অনুর কাছে গিয়ে বললাম " তুই আসলি কেন? তুইতো বলেছিলি আসবি না।
অনু:আসতে চাইনি।তোর কথা ভেবে আসলাম।
আমি:চল।
আমরা সবাই খেয়ে দেয়ে বিকাল বেলা আসার সময় আমার শ্বশুর বলল আমি এখানে একা একা থেকে কি করবো আমিও আপনাদের সাথে যেতে চাই।
আব্বু:তাহলে চলেন বিয়াই সাহেব।
আমরা চলে আসলাম অনুদের বাসায়। যে যার রুমে চলে গেলো।
আমরা আমাদের রুমে চলে আসলাম।
আমি:আচ্ছা লাবন্য আজো কি ঘুমাবে?
লাবন্য:না আমার ছেলে চাই।
আমি:কখনোও না মেয়ে হবে।
লাবন্য:আচ্ছা আমরা ঝগড়া করছি কেন। আল্লাহ ভালো জানেন কি হবে আমাদের ওরোশে।
আমি:তা ঠিক কিন্তু আমি মেয়ে চাই।
লাবন্য:আগেতো মিশন শুরু করো তার পরে দেখা যাবে।
আমি:এই তোমার মুখে কি কিছুই আটকায় না।
লাবন্য:এখানে আর কি কেউ আছে শুনি।
আমি:দেওলেরো কান আছে শোনোনি।
লাবন্য:তো কি।
আমি:আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
লাবন্য:তুমি মেয়ে চাও না?
আমি:হ্যাঁ।
লাবন্য:ঘুমালে মেয়েটা দুনিয়াতে আসবে কেমন করো?
আমি:আমি না ভয় লাগছে এই প্রথম তো।
লাবন্য:যে ভাবে বলছো মনে হয় এর আগে আমার কোনো স্বামী ছিলো যে আমাকে শিখিয়ে দিয়াছে।
আমি:আচ্ছা তুমি এখন কি বলবে বলো।
লাবন্য: আমি ছেলে চাই।
আমি:আচ্ছা চলো।
লাবন্য:কোথায়?
আমি:অজু করতে।
লাবন্য:ওহ চলো।
অজু করে আসলাম। তার পর ও আমাকে বলে শুরু করো।
আমি:কেমন করে শুরু করবো বুঝতে পারছি না।
লাবন্য বললো " কি যাতা বলো এই বলেই ও আমার ঠোঁট নিজের দখলে নিয়ে নিলো।
আমি:এমন রাক্ষসের মতো করছো কেন? আমার ঠোঁট তো মনে হয় ছিরে যাচ্ছে।
লাবন্য:তুমি পারো না বুঝি তাই এতো জোরে। যেন তাড়াতাড়ি শিখে যাও।
আমি এবার ওর ঠোঁট আমার দখলে নিয়ে নিলাম।
লাবন্য : এতো জোরে কেন, লাগছে তো?
আমি:মন চাইছে ছিরে খেয়ে ফেলি।
কিছুক্ষণ পরে যা হওয়ার তাই হলো। দুজন একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লাম...............চলবে?
গল্প:#বড়লোকের_মেয়ের_সাথে_প্রেম
পর্ব : ৯
লেখক:#মুহাম্মদ_আজিজুল