গল্পঃ বোরকাওয়ালি মেয়েটি পর্ব ১ - ৩ (শেষ পর্ব)

গল্পঃ বোরকাওয়ালি মেয়েটি পর্ব ১ - ৩ (শেষ পর্ব)

সিগারেট হাতে নিয়ে নিরিবিলি রাস্তায় রাতের এক টা বাজে হেটে চলছি। অনেক রাতের কারনে কোনো মানুষ নেই। যদিও আমিও এত রাত করে বাড়ি ফেরি না । কিন্তু আজকে আমার মনটা অনেক খারাপ তাই এত দেরি করে বাড়ি ফিরছি। মন খারাপের একটা কারন আছে। কারন টা হলো আজকে ৩ বছরের সম্পর্ক একেবারে ভেঙে দিয়ে চলে গেল সেতু। অনেক ভালোবেসেছিলাম সেতুকে। কিন্তু সেতু আমার থেকে বেটার কাউকে চলে গেল। এবার মুল গল্প আসা যাক।

আপন মনে হাটতেছি তখন কালো বোরকা পরা। চোখ দুটো ছারা আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না। মেয়েটি আমাকে বলল আমি অনেক বিপদে আছি,আমাকে কী আপনি সাহায্য করবেন। 

আমার এমনিতেই মন ভালো নেই। তাই বিরক্ত ভাব নিয়ে বললাম, আপনাকে আমি চিনি না, জানিনা তাহলে সাহায্য করব কেন? সরেন তো সামনে থেকে ,আমাকে যেতে দেন।

এটা শুনে মেয়েটি কান্না কন্ঠে বলল। দয়া করে সাহায্য করুন আপনার সাহায্য অনেক প্রয়োজন আমার । আমাকে ফিরিয়ে দিয়েন না। কান্না  করতেছে 

আমি : কান্না থামান। কী সাহায্য করতে হবে, বলুন আগে শুনি। তারপর না হয় সাহায্য করার কথা ভাববো। 

মেয়েটি: (কান্না থামিয়ে ) আচ্ছা বলতেছি,আপনি সিগারেট ফেলেদেন, সিগারেট ধোয়া সয‍্য করতে পারি না। 

আমি : বিরক্ত কর ভাব নিয়ে সিগারেট টা ফেলে দিলাম।  এখন বলুন কীভাবে সাহায্য করতে হবে। 

মেয়েটি : আসুন আমার সাথে  

আমি : কই যাব 

মেয়েটি: আরে আপনাকে তো আমার  নামি বলেনি।আমার নাম তানজিলা আক্তার নিলা। আর আমার সাথে সাথে আসেন এত কথা বলেন কেন। 

আমি : আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাচ্ছি। আর আমার নাম 

এটার বলার আগেই তানজিলা আমার মুখ থেকে কথা  কেরে নিয়ে বলল আপনার নাম আমি  জানি। আপনার নাম হলো মো ফররুখ আহমেদ শুভ। অনর্স চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করতেছেন। 

এটা শুনে চমকে উঠলাম। কারন মেয়েটা আমাকে আগেই থেকেই চিনে। আর মেয়েটা কে হতে পারে যৃ আমি তাকে চিনি না । আর মেয়েটি আমাকে চিনে। 

এসব ভাবতেছি আর তানজিলা এর পিছু পিছু হাটছি। কিছুদুর যাওয়ার পর তানজিলা একটা বাড়ির ভিতর ডুকলো। 

তানজিলা : এই যে শুভ সাহেব আমি যা কিছু বলব। তা শুধু মাথা নারিয়ে সম্মতি দিবেন। তাছাড়া বার্তি কোনো কথা বলবেন না। 

আমি : বলব না কেন 

তানজিলা : আপনি কথা বললে আমার উপকার হবে না বরং অপকার হবে। তাই কথা বলতে না করছি। 

আমি:আচ্ছা চেষ্টা করব কোনো কথা না বলার। 

রাতর তখন 2 টা বেজে গেছে, এই সময় ঘুমাই বাড়ি টা তে ডুকার পর একি অবস্থা সবাই ঘুমাইছে। আর তানজিলা ঐ সময় জোরে জোরে চাচামিয়া চাচামিয়া বলে ডাকতে শুরু করল। 

জোরে ডাকার কারনে সবার ঘুম ভেঙ্গে  গেল।অনেক লোক কে দেখলাম তাদের মধ্যে একটা মধ্যে বয়স্ক লোক বলল কী এত রাতে চেচামেচি করস কেন 

আরেক মহিলা এই অলক্ষি কী হয়েছে তর রাত 2 টার সময় চেমামেচি করস কেন 

তানজিলা :আজকে আমি আপনাদের কথা শুনতে আসি নাই। আমি বলব আপনারা শুনবেন। আমি আপনাদের পছন্দের ঐ গান্জাখোর ছেলেকে বিয়ে করতে পারব না। তাই আমি বাড়ি ছেলে চলে যাব। 

এই যে ছেলেটিকে দেখতে  পারছেন। আমি তাকে কোড থেকে বিয়ে করেছি,অনেক আগেই কিন্তু তোমাদের ভয়ে বলতে পারি নাই । সো আমি বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছি । আমাকে খুজার জেন কোনো চেষ্টা করতে না হয়। আর আমার যা সম্পত্তি ছিল। তাও আপনাদের নামে লিখে দিয়েছি। এই নেন কাগজ। সম্পত্তি এর জন্যই তো খারাপ ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিতে চাইছিলেন। 

আমি এই ছেলেটিকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আমাদের জন‍্য দোয়া করবেন। আমরা যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারি। 

আমি এসব ভালোবাসা বিয়ের কথা শুনে তো হুশ উরে যাওয়ার মতো অবস্থা। তানজিলা এর কথা শুনে  বিদ‍্যুৎ এ শর্কড খাওয়ার পর মানুষ যেভাবে দারিয়ে থাকে। আমিও ঠিক ঐইভাবেই ধারিয়ে ছিলাম । 

পরে তানজিলা আমার হাত ধরে বাইরে বের করে নিয়ে আসে। আর বাইরে এসে বলে..

#চলবে

#গল্প_বোরকাওয়ালি_মেয়েটি
#পর্ব_১
#লেখক_মো_ফররুখ_আহমেদ_শুভ

গল্পটা কেমন হয়েছে জানান। ভুল এুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

#গল্প_বোরকাওয়ালি_মেয়েটি
#পর্ব_২
#লেখক_মো_ফররুখ_আহমেদ_শুভ

পরে তানজিলা আমার হাত ধরে বাইরে বের করে নিয়ে আসে। আর বাইরে এসে বলে..

আমি কিছু বলার আগেই তানজিলা বলল দেখেন আমি যা কিছু বলেছি। তা শুনার জন‍্য মনে হয় প্রস্তুত ছিলেন না। 

আমি আপনার দারিয়ে থাকা দেখেই বুঝতে পার$ছি আপনার সবকীছু মাথার উপর দিয়ে গেছে । এছারাও আমার কিছু করার ছিল না। আমি আপনাকে অনেকক্ষণ দরে ফলো করছিলাম। আমি আপনাকে অনেক দিন ধরেই চিনি। সেতুর সাথে যেখানে কথা বলছিলে ওখানে আমি ছিলাম। তোমার পিছু পিছু আমি আসছিলাম। কিন্তু বলার শাহস পাচ্ছিলাম না। 

অবশেষে শাহস করে বলেই ফেললাম। পরে কী হলো দেখতেই তা তো আপনি জানেনি। আমার বাবা মা সবাই মারা গেছে । পরে চাচা আমাকে লালন পালন করছে। আর আমার টাকার জন‍্য চাচা একটা নেশাখোর এর সাথে আমার বিয়ে ঠিক করে। পরে আমি আপনাকে স্বামী বানায় । 

আমি : আচ্ছা সবি বুঝলাম,এখন থাকবেন কই,প্রায়ি রাত শেষ হয়ে আসলো। 

তানজিলা:  আজকের রাত রাত টা রাত তো নেই যেটুকু আছে ঐটুকু সময় আপনার বাড়িতে থাকব।

আমি : কিন্তু

তানজিলা : এই সময় আমি কই যাব বলেন তো।কালকে  সকালে না হয় যাবো। 

আমি কিছু না বলে আমার বাড়িতে গেলাম।গিয়ে দরজায় টুকা দিলাম। প্রথম টুকাই দরজা খুল না। পরে অনেকবার টোকা দেওয়ার পর ছোট বোন দরজা খুলে দিল। আর বলল ভাইয়া তুই বলে আসবি না। তাহলে আসলি যে (ছোট বোনের নাম ফারিয়া) 

আমি:আসলাম তো কী হয়েছে 

ফারিয়া : এই মেয়েটা কে। তুই বিয়ে করে নিয়ে আসলি একটু আমাকে জানানোর প্রয়োজন করলি না । মানলাম বিয়ে করে এনেছিস তাহলে বোরকা পরিয়ে রাখছোস কেন? 

আমি:এত বেশি বুজোস কেন  তোকে বলছি আমি বিয়ে করে এনেছি। এরপর আর একটা কথাও বলবি না। 

ফারিয়া : আম্মু আব্বু তার তারি উঠো এই দেখো তোমাদের ছেলে বিয়ে করে এনেছে। 

প্রথম বার শুনল না। এর পরে আর জোরে জোরে ডাকা শুরু করল। জোরে ডাকা দেখে আমি গিয়ে ওর মুখ চেপে ধরার চেষ্টা  করলাম কিন্তু ও মানতেছে না ।আমার ওর মারামারি বাজার অবস্থা। 

পরে লক্ষ করলাম এসব তানজিলা হাসতেছে। তখনি বাবা মা জাগনা হয়ে গেছে। এসে বলল কী হয়েছে এই অসময়ে এরকম করছ কেন?

ফারিয়া : দেখ দেখ তোমাদের আদরের ছেলে বিয়ে করে এনেছে তোমাদের না জানিয়ে। 

বাবা মা তানজিলা দেখল আর আমাকে দেখে বলল।

বাবা : শুভ আমাকে জানাতে পারতি,তুই বিয়ে করবি,তোর পছন্দ আছে।আমি তোকে যেভাবেই হোক এই মেয়েকেদিয়েই বিয়ে করাতাম। কিন্তু তুই ছি ছি 

আমি : বাবা বিশ্বাস কর আমি বিয়ে করে 

মা : তুই আর কোনো কথায় বলিশ না। 

আমি : মা বিশ্বাস কর আমি বিয়ে করি নি  ঐ মেয়েকেই জিগ্গেস কর 

বাবা : মা তোমার নাম কী?

তানজিলা : মোছা: তানজিলা আক্তার নিলা 

বাবা : নাম টা অনেক সুন্দর,কিন্তু এইরকম কাজ করলা কেন। পরিবার কে না জানিয়ে বিয়ে করলা কেন?

তানজিলা : আমি তো জানিয়ে চাইছিলাম কিন্তু শুভ তো বলল বাবা বিয়ের কথা বলল বাবা তোমার সাথে বিয়ে করাবে না। আর বাবা আমরা তো অনেক আগেই বিয়ে করেছি। 

বাবা :😠😠😠😠

 আমি তো পুরাই বেহুস হওয়ার মতো অবস্থা। না বলতে পারছি তানজিলা কে কিছু?আর না পারছি বাবা কে বিশ্বাস করাতে 

মা......

চলবে

#গল্প_বোরকাওয়ালি_মেয়েটি
#পর্ব_৩
#লেখক_মো_ফররুখ_আহমেদ_শুভ

মা : বিয়ে যখন করেই ফেলেছে। তখন আর কী করা যাবে। বউকে তো মেনেই নিতে হবে । বউমা তোমার বোরকা টা এখন খুলে ফেল। দেখি তোমাকে 

তানজিলা বোরকা টা তোলার পর। আমি তো অভাক হয়ে যাই। কারন তানজিলা আর কেউ নই সে হলো আমার ex গার্লফ্রেন্ড সেতু। যার সাথে ব্রেকআপ করছিলাম। 

সেতু অনেক সুন্দরি তাই সবাই পছ্ন্দ করল। মা তো বলল ছেলের পছন্দ আছে। তা না হলে এত সুন্দর মেয়ে কে ঘরের বউ করে কেমনে। 

পরে আমাকে আর সেতুকে এক ঘরে দেওয়া হলো। আমি সেতুকে বললাম তুমি আমার সাথে ব্রেকআপ করলে তাহলে এখন আবার কী চাউ 

সেতু : আরে তোমার সাথে একটু মজা করলাম। যাতে বিয়েটা তারাতারি হয়ে যাই 

আমি: তোমার ভয়েচ টা তো চিনতে পারলাম না। 

সেতু : আমী তো ভয়েচ চেন্জ করে কথা ভবলেছি।

বিয়ে ছারাই বাসর  টা করে ফেললাম। 

আর কিছুক্ষণ পর সকাল হয়ে গেল। তখন সেতু হঠাৎ করেই লাথি মারল। আর আমি খাট থেকে পরে গেলাম। পরে চেয়ে দেখি। সেতু নই আমার বোন লাথি মারছে ঘুম থেকে উঠিনা বলে। 

আর আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম এতক্ষণ যা দেখলাম ওগুলো সব স্বপ্ন ছিল 🙄

হাইরে কপাল 

end
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post