বাড়িওয়ালার দাজ্জ্বাল মেয়ে পর্বঃ5

 


বাড়িওয়ালার দাজ্জ্বাল মেয়ে❤

লেখক: সানভি আহম্মেদ আবির 

পর্বঃ5👌


তারপর সব বন্ধুরা আমাকে বাসর ঘরে নিয়ে গেলো।

ঃবাসরঘরে যা। ভালো ভাবে বাসর করিস। আজ তোর বাসর বলে কিছু বললাম না। কিন্তু তোর হিসেব টা পরে নেব।(রনি)

ঃআর হ্যা আজ কিন্তু বিড়াল মারবি।(রনি)

ঃঅই এদিকে আয়? (আমি)

ঃকি? 

ঃতর ভাইকে এতো ভিতু মনে হয় হ্যা। আমি একটা নিরিহ বিড়াল মারবো। আমি বিড়াল মেরে হাত গন্ধ করতে চাই না। মনে নাই তোর কলেজ থাকতে আমি একাই একটা কুত্তাকে মারলাম। 

শুন আজ আমার বাসর রাত। আজ বুকে অনেক সাহস। তুই যা বাঘ ভাল্লুক নিয়ে আয়। দেখবে তোর ভাই কেমনে স্টাইল করে মারে।

ঃবন্ধু শুধু বুকে সাহস থাকলে হয় না। যত টুকু সাহস আছে তার থেকে বেশি শক্তি লাগবে।

ঃএই দেখ আমার পুল ত্রি প্যাক আছে। কিছু দিন যেতে দে পুল সিক্স প্যাক বানিয়ে ফেলবো।

ঃতার আর সুযোগ নাই মেরি পেয়ারে দুস্ত। 

তুই এখন যা।

তারপর আমার সব ববন্ধুরা আমাকে বাসর ঘরে ঠেলে দিল।

মধু খাটের উপর গোমটা দিয়ে বসে আছে।

আমার খুব ভয় করছে। কি রাগি মেয়েরে বাবা। তার উপর মেয়েটাকে কস্ট দিয়েছি। এখন যদি কিছু করে আমি শেষ। 

বাইরে বন্ধুদের সাথে যতটুকু চাপাবাজী করেছি এখন এর সামান্য হলেও হবে।

কইরে সাহস, ভাই একটু বুকের ভিতর আয়। আজ মেরি ইজ্জত কা সাওয়াল হে।

শেষমেষ বুকে ফু দিয়ে এগিয়ে চললাম। 

আমি সামনে দিকে যেতেই মধু বিচানা থেকে উঠে আমার দিকে আসছে।আজ আমি শেষ।

আংকেলের কথা মনে হচ্ছে "আমার মেয়ে খুব রাগি আর জেদি, ওর মন যা চায় তাই করে"

আমি মনে আল্লাহ কে ডাকছি। আজ বুঝি আমি শেষ।

ঃআমাকে দোয়া করবে যেন আমি সারাজীবন তোমার সুখে দুখে পাশে থাকতে পারি। একসাথে বাচবো একসাথে মরবো।(মধু)

মধুর কথায় আমার ঘুর কেটে গেল।

চেয়ে দেখি মধু আমার পায়ে ধরে আছে।

ঃবেচে থাকো মা। বেচে থাকো।

মধু রাগি ভাবে উঠে আমার কলার ধরে বলল

ঃএই আমি তোর মা লাগি। হ্যা। একদিকে তুই আমাকে অনেক কস্ট দিছিস। আজ বাসর রাত তাই এসব কিছু বললাম না। ভাবলাম অন্য দিন এর হিসেব নুবো। কিন্তু তুই এখনই আমার রাগ তুলে দিলে।

ঃআরে তুমি দেখছোনা বাংলাjমুভিতে যখন কেউ পা ধরে সালাম করে তখন মুরুব্বিরা এই কথা বলে।

ঃতুই মুরুব্বি? 

ঃনানা আমি তোমার স্বামী। 

আর এমন হবে না গো। এবারের মতো মাপ করে দাও।

ঃঠিক আছে। তবে নিচে ঘুমাতে হবে।

ঃকিহ নিচে!? ইটস ইম্পসিবল।

ঃভালোয় ভালোয় বলছি। নিচেব ঘুমোয়।

ঃকি আর করার নিচে ঘূমাতে হলো।

এই রে মনে পরেছে বন্ধুরা বলল বিড়াল মারতে। আমাকে এখন বিড়াল মারতে হবে।কিন্তু যদি কামড় দেয়। শুনছি বিড়াল কামড় দিলে শরিরে বাচ্চা হয়ে যায়। আমি এখন কি করবো।

আমিও হাল ছাড়ার পাত্র নয়। বিড়াল তুই যেখানে আছিস বেরিয়ে আয়। আজ তুই শেষ।

আলমারিতে আমার ক্রিকেট খেলার সরঞ্জাম ছিল। এগুলো পরলে বিড়াল কামড় দিতে পারবে না।

আলমারি খুলে পায়ে প্যাড পরলাম, হাতে গ্লাভস আর মাতায় হেমলেট। 

হ্যা ইটস পারফেক্ট। আর বিড়াল কামড় দিতে পারবে না।

এই বার হাতে একটা ব্যাট নিলাম। ঘরের কোনা কোনা সার্চ মারছি। কোথায় বিড়াল পাচ্ছি না। ধুর হালার পো বিড়াল গেলো কই। না কি আমার রেডি হওয়া দেখে পলাইছে। 

ঃএই এই কি করছো। এই রাতে তুমি ক্রিকেট খেলবে। জিবনে তো দেখিনি ব্যাট হাতে নিছো। আর আজ রাতে এই ভাবে ড্রেস করলা কেন?

ঃশালা গেলো কই? দেখি খাটের নিচে আছে নাকি?

ঃএই কি খুজছো?

ঃতুমি এখানে বিড়াল দেখেছো?

ঃতুমি বিড়াল দিয়ে কি করবে?

ঃআর বলোনা বন্ধুরা বলল বাসর রাতে বিড়াল না মারলে নাকি আমি কাপুরুষ। আমি ওদের দেখাই দিমু যে আমি বীরপুরুষ। 

আমার কথা শেষে মধু হাস্তে হাস্তে শেষ। 

ঃতা এই প্রিপারেশন কেন?

ঃসেফটি মাই ডিয়ার ওয়াইফ সেফটি। তোমার স্বামী অনেক চালাক বুঝছো। বিড়াল যাতে কামড় না দেয় তাই এই ধরনের সুরক্ষা। 

ঃআমার কথা শুনে মধু হাসবে না কাদবে কিছু বুঝতে পারছে না।

ঃএই বুদ্ধু এই দিকে আসো।

ঃকি? 

ঃএগুলা খুলে আসো। আর আমি শিখাচ্ছি বিড়াল কেমন করে মারতে হয়।

ঃতুমি বিড়াল মারছো আগে?

ঃযাও তারাতারি আসো।

তারপর মধু আমাকে বিড়াল মারা শিখালো।

পরদিন সকালে ঘুম ভাঙার পর দেখি মধু আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।

আমিও অকে না জাগিয়ে এনজয় করতে লাগলাম।

কিছুক্ষণের মধ্যে মধু জেগে উঠলো।

ঃকি ব্যাপার এই ভাবে তাকিয়ে কি দেখছো।

ঃআমি আমার বউকে দেখছি তোমার কি?

মধু লজ্জা পেয়ে উঠে গেলো। তারপর আমরা ফ্রেশ হয়ে খেতে গেলাম।

এই ভাবে সপ্তাহ খানেক কেটে গেলো।

ঃআম্মু আমার ভার্সিটি খুলে গেছে আর মধু ভার্সিটি পরিক্ষার প্রিপারেশন নিবে তাই আমাদের যেতে হবে।

ঃএতো তারাতাড়ি চলে যাবে?

ঃআবার সময় পেলেই চলে আসবো।

ঃআচ্চা ঠিক আছে বিকালে যাবে?

ঃআচ্চা

তারপর বিকেলে আমরা রেডি হয়ে বেরিয়ে পরলাম সিলেটের উদ্দেশ্যে। রাতে মধুদের বাসায় তুক্কু শশুড় বারিতে চলে আসলাম। 

ঃমধু আমি বলিকি আমরা একটা বাসা দেখি? অখানে চলে যাবো। এখানে থাকলে মানুষ ঘরজামাই ডাকবে?

ঃ তোমার কি কমন সেন্স বলতে কিছু নাই। আমি চলে গেলে আব্বুকে কে দেখবে। আমি আর তুমি ছাড়া আব্বুর আর কেউ নেই।

আর কার এতো বড় সাহস তোমাকে ঘর জামাই বলবে। শোন তুমি যদি বল তাহলে আব্বুকে বলে আমি এই বাড়ি তোমার নামে করে দেব তবুও এই কথা বলনা প্লিজ। আমি আব্বুকে ছাড়া থাকতে পারবো না। 

ঃআচ্চা ঠিক আছে আমি এখানেই থাকবো। আর তোমাকে আমার বাড়ি করে দিতে হবে না। 

এভাবে আমাদের সুখে খুনশুটি সংসার চলতে লাগলো। 

দেখতে দেখতে ভার্সিটির এডমিশন এক্সামও কাছে চলে আসছে আর আমারও এক্সাম চলে আসছে।

দুজনই পড়ায় মনযোগ দিলাম।

মধু আমার ভার্সিটিতে চান্স পায়নি পাশের ভার্সিটিতে পাইছে। আমি আর আংকেল অনেক খুশি মধুর এই সাফল্য দেখে। 

আমি মিস্টি নিয়ে এসে দেখি মধু মন খারাপ করে বসে আছে।

ঃকি ব্যাপার এই খুশির দিনে রোমার মন খারাপ কেন?

ঃতোমার ভার্সিটিতে আমার চান্স হয় নি। আমি অখানে যাবোনা।

ঃপাগলামি করোনা। ভাগ্য ভালো দুরের কোন ভার্সিটিতে হয় নি। এই ভার্সিটি আমার ভার্সিটির একদম পাশেই। তুমি ভর্তি হও প্লিজ।

আমি আর আংকেল মধুকে অনেক বুঝিয়ে ভার্সিতে ভর্তি করালাম।

'

মধু ভার্সিটির মাসখানেক হচ্ছে। প্রতিদিন আমি অকে নিয়ে তার ভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে আমার ভার্সিটি আসি। আবার গিয়ে আনি।

আজ আমার ভার্সিটিতে ক্লাস হয় নি। ভাবলাম মধুর ভার্সিটিতে যাই। অর ক্লাস না থাকলে একটু ঘুরাঘুরি করবো।

মধুর ভার্সিটিতে প্রবেশ করে অদের ডিপার্টমেন্ট এর সামনে গিয়ে একটা মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম মধু কি ক্লাসে আছে।

ও কিছুক্ষণ পরে এসে বলল মধু ক্লাসে নাই।

ঃগেলো কোথায়। নাকি বাসায় চলে গেলো।

আমিও বাসায় চলে যাই।

যখনই ভার্সিটির গেটের কাছে আসলাম হঠাৎ চোখ একটি গাছের নিচে গিয়ে আটকে গেলো।

এটাতো মধু কিন্তু সাথের অই ছেলেটা কে?

না মধু এটা কেমন করে করতে পারলো। 

মধু আমাকে বলতো ভার্সিটিতে গিয়ে যেন কোন মেয়ের সাথে কথা না বলি আর সেও কোন ছেলের সাথে কথা বলবে না।

আমি আমার কথা ঠিকই পালন করছি।

কিন্তু ও!


ও কি করলো আমাকে কি ধুকা দিচ্ছে।

এখানে আর এক মুহুর্ত থাকতে পারলাম।

সোজা বাসায় চলে আসলাম। 

কোন কিছু করতে মন চাচ্ছে না। কিছু ভালো লাগছে না। এসব ভাবতে ভাবতে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। কিন্তু ঘুম আর আসছে না। আসবেই বা কি করে। এতো কিছু ভাবতে থাকলে ঘুম কি করে হয়।

হঠাৎ দরজা খুলার আওয়াজ শুনতে পেলাম। 

আমি ঘুমের ভান করে শুয়ে পরলাম। বুঝলাম মধু আসছে।

ঃএই শুনো

ঃনিশ্চুপ

কয়েকবার ডাকার পর উঠলাম। 

ঃকি হয়েছে?

ঃতুমি আমাকে আনতে গেলে না কেন? আর এই অবেলায় শুয়ে আছো কেন?

ঃএক্টু মাথা ব্যথা করছে। তাই ক্লাস না করে বাসায় চলে আসলাম। 

ঃঅ আচ্চা।

এই বলে মধু ওয়াসরুমে চলে গেলো।

মধু একবারের জন্যও আমাকে জিজ্ঞেস করলো না আমার মাথা ব্যথা কমছে কিনা। বা ডাক্তারের কাছে গিয়েছি কিনা? 

মনে হয় ভুলে গেছে?

ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ছি বুঝতে পারি না।

যখন ঘুম ভাঙলো ঘড়িতে চেয়ে দেখি রাত ৮ টা বাজে।

মধু একবারের জন্যও আমাকে খাবারের জন্য ডাকলো না। 

খুব কস্ট হচ্ছে। 

হঠাৎ মধু আসলো।

ঃঘুম ভাঙলো তোমার? তোমার মাথা ব্যথা করছে তাই ডাকিনি।

ফ্রেশ হয়ে এসো আমি ভাত নিয়ে আসছি।

ঃআমিও ফ্রেশ হয়ে টেবিলে বসলাম। 

মধু আমার প্লেট ভাত বেরে দিচ্ছে।

ঃপ্লেট একটা কেন দুইটা আনিয়া লও।

আমি জানি তোমি আমাকে ছাড়িয়া খাবার খাবেনা।

ঃনা তুমি খাও বাবার জোরাজোরি তে আমি খেয়ে নিয়েছি।

ঃঅহ আচ্চা।(এক প্রকার লজ্জা পেয়ে গেলাম + খুব কস্ট পেলাম)

একসময় মধু আমাকে ছাড়া কুছুই খেত না। আজ দিব্বি খেয়ে নিলো।

আমার খাওয়ার ইচ্ছে টাই মিটে গেলো। কিন্তু এক প্রকার জোর করে খেয়ে শুয়ে পড়লাম। আজ আর পড়তে ভালো লাগছে না। 

মধু কিছুক্ষন পড়ে শুতে আসলো। 

আমি বিছানার এক সাইডে চলে গেলাম। 

ঃকি হয়েছে তোমার আজ সারাদিন আমার সাথে ভাল ভাবে কথা বলছো না। কি হয়েছে তোমার? 

ঃনা কিছু না। এমনিতে কিছু ভালো লাগছে না। 

ঃতোমার মাথা ব্যথা কমছে? 

ঃএখন মনে হলো। 

ঃআমি জিজ্ঞেস কর‍তে চাইছিলাম। ওয়াসরুম থেকে এসে দেখি তুমি ঘুমাই গেসো তাই ডাকিনি।

ঃঅহ আচ্চা।

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মধু আমার পাশে নাই।

কোথায় গেলো। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম সকাল ৮ বেজে গেছে।

মধু মনেহয় রান্না করছে। আমিও ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম। কিন্তু মধুকে রান্না ঘরেও দেখলাম না। 

আমি আংকেল কে জিজ্ঞেস করলাম মধু কই? 

আংকেল বললেন যে মধু ভার্সিটিতে চলে গেসে।

আচ্চা আংকেল যাই আমি।

তারপর আমিও ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।

কিছুদুর যাওয়ার পর মনে পড়ল মধুর ভার্সিটি থেকে দেখে আসি। অ কি করছে।

যেই ভাবা সেই কাজ। চলে গেলাম ওদের ভার্সিটিতে।

ভার্সিটি গিয়ে চারপাশ ভাল ভাবে দেখলাম। কিন্তু মধুকে কোথায় দেখলাম না।

মনেহয় ক্লাসে গেছে। অযথাই অকে সন্দেহ করলাম। 

যাই ঢং এর দোকান থেকে চা খেয়ে আসি।

ঃমামা ভালো করে এককাপ চান দেন।

চায়ের দোকানের বিপরীত পাশে একটি ফুসকার দোকান। খুব ভিড়। ছেলে মেয়েরা মিলে ফুসকা খাচ্ছে।

আমি ওদের দিকে চেয়ে চেয়ে চা খাচ্ছি।

হঠাৎ আমার চোখ এক জায়গায় গিয়ে আটকে গেলো। 

সাথে সাথে আমার হাত থেকে কাপ মাটিতে পড়ে গেলো। 

আমি যাদের দেখছি তারা হলো মধু আর সেই দিনের ছেলেটা। 

মধু সেই ছেলেটাকে মখে তুলে ফুচকা দিচ্ছে আর ও খাচ্ছে।

এই সিন দেখার পর আমার চোখ দিয়ে অজান্তেই পানি চলে আসলো।

সোজা চলে আসলাম। 

তারমানে মধুর অইছেলের সায়হে কিছু একটা চলছে। 

অই ছেলেটা যদি মধুর ফ্রেন্ড হতো তাহলে এতো ক্লোজ হওয়ার কথা না। তারমানে অন্য কিছু।

দেখি কতো দুর আগায়।

বাসায় চলে গেলাম।

আজ মধু সন্ধ্যার পরে বাসায় আসলো।

আজ আর জিজ্ঞেস করলো না, আমি কেন আনতে যাই নি। 

মনে হয় তার ভালো হইছে। সারাদিন ঘুরতে পারলো।

আজ আমার সাথে কোন কথা বলল না। রাতে ঘমানোর আগে 

ঃএই শুনো 

ঃহা বলো

ঃআমার কিছু টাকা লাগবে? 

ঃকতো

ঃ২০০০০ টাকা লাগবে? 

ঃকিহ এতো টাকা। আমি এতো টাকা কই পাবো আর এতো টাকা দিয়ে তুমি কি করবে? 

ঃআমি টাকা দিয়ে কি করবো, সেটা তোমার না জানলেও চলবে।

ঃকিন্তু আমার কাছে তো এতো টাকা নাই?

ঃকেন বউ এর আবদার পুরন করতে পারবে না তাহলে বিয়ে করলে কেন?

ঃশোন যখন আমাদের বিয়ে হয় তখপ্ন তুমি নিশ্চয়ই জানতে আমি স্টুডেন্ট এবং কোন কাজ করিনা। 

আর আমি তোমাকে পড়ালেখা করার পর বিয়ে করতে চাইছিলাম কিন্তু বিয়ে করার জন্য তুমি আমাকে জোর করেছিলে।

তারপরেও মধু আমাকে অনেকগুলো কথা শুনিয়ে দিলো। 

রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য কিছু টাকা জমা করেছিলাম। সেখান থেকে বিশ হাজার টাকা নিয়ে টেবিলের উপর রেখে দিলাম। 

মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো। ঘুম থেকে উঠে দেখি মধু আমার পাশে নাই। গেলো কোথায়। ওয়াস রুমের আলও অফ। তারমানে ওয়াসরুমে নয়। কিন্তু কোথায়। 

হঠাৎ বেলকনিতে ছোট করে আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি বিছানা থেকে উঠে বেলক্নির দেখি গেলাম।

মধু কার সাথে কথা বলছে?

আমার উপস্তিতি ঠের পেয়ে মধু ফোন কেটে দিল। 

ঃএতো রাতে কে ফোন করেছিল? 

ঃআমার এক বান্ধবী। আমেরিকা থাকে। 

ঃআচ্চা ফোন শেষ হলে চলো ঘুমিয়ে পড়। 

তারপর ঘুমিয়ে পরলাম। 

কাল সকালে এর কিছু একটা ব্যবস্থা করতেই হবে। এভাবে আর কতো দিন। দিন দিন মধু আমার থেকে দুরে সরে যাচ্ছে।

পরদিন সকালে উঠেও মধুকে পেলাম না। টেবিলের টাকাও নাই। তারমানে মধু টাকা নিয়ে চলে গেছে। আসুক আজ, আজ এর একটা বিহিত করতেই হবে।

আজও রেডি হয়ে মধুর ভার্সিটির দিকে যাচ্ছি। 

হঠাৎ ফোন এলো। 

ভার্সিটির ফ্রেন্ড কল দিছে।

ঃকিরে হারামি কই তুই।

ঃআমিতো বাসায়রে(মিথ্যা বললাম)

ঃকেন বাসায় কেন? তারাতাড়ি ভার্সিটিতে আয়।

ঃনারে আসতে পারবো না। আজ আমার একটি কাজ আছে। 

ঃআবে আজ ভার্সিটিতে ইম্পর্ট্যান্ট ক্লাস আছে 

ঃআচ্ছা আসছি।

এখান থেকে সোজা আমার ভার্সিটি চলে গেলাম। 

ভার্সিটিতে ঢুকা মাত্র আমার ফ্রেন্ডরা সবাই একসাথে বলে উঠল 

"হ্যাপি বার্থডে মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড ফাহাদ "

আমিতো অভাক। আমি ভুলেই গিয়েছিল আজ আমার জন্মদিন অথচ আমার ফ্রেন্ডরা ঠিকই মনে রাখছে। 

তারপর ক্যান্টিনে গিয়ে কেক কেটে অনেক আনন্দ করলাম। প্রাত সন্ধ্যা হয়ে গেলো। 

যখন বাসায় আসবো তখন আমার ফ্রেন্ডরা আমাকে কিছু গিফট দেয়। আমি সেগুলো নিয়ে খুশি মনে বাসায় ফিরলাম।

ফেরার পথে হঠাৎ মধুর কথা মনে পড়ে গেলো। আজ আমার জন্মদিন অথচ মধু আমাকে উইস করলো না। 

কিন্তু কেন? অর কি মনে নেই। 

ভুলার কোন কথাই নাই। 

এই টাকা গুলা কেন নিলো। মনেহয় আমার বার্থডে উইস করার জন্য। আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য।

খুশি মনে বাসায় ফেরলাম।

বাসায় গিয়ে কলিং বেল চাপলাম।

আংকেল দরজা খুলে দিলেন। 

তারপর আমার রুমে গিয়ে গিফট গুলো টেবিলের উপর রেখে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। 

আমি মধুকে খুজার চেস্টা করছি না। কেননা ও আমার বার্থডে সেলিব্রেশনের কাজে হয়তো বিঝি আছে।

কিন্তু রাত তো অনেক হলো কিন্তু মধুর কোন খুজ পাওয়া যায় না কেন?

আংকেলের কাছে গেলাম।

ঃআংকেল মধু কই?

ঃঅহ বাবা আমি ভুলেই গেছি তোমাকে বলতে, 

তারপর আংকেল যা বললেন তা শুনে আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি চলে গেলো। 

!

waiting for next part.

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post