
গল্পঃ- মাফিয়া গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ- ৯
লেখকঃ- নীল অনুভূতি(sumon)
.
--অামি নিশাতকে ভালবাসি কিন্ত প্রকাশ করতে পারিনি। অার এতো তাড়াতাড়ি প্রকাশ করতেও চাই না। কারন অামার ভালবাসা প্রকাশ করলে নিশাতের পাগলামি বেড়ে যাবে সেই জন্য।
.
--পরের দিন সকাল বেলা অফিসে যাওয়ার সময় নিশাত সামনে এসে....
.
নিশাত:- এই নাও টিফিনটা সাথে করে দিয়ে যাও দুপুরের খাবার অাছে খেয়ে নিয়ো।
.
অামি:- অ্যা🤓😟🤓😟(নিশাতের মুখের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে অাছি)
.
নিশাত:- কি হলো এভাবে তাকিয়ে অাছো কেনো? অার টিফিনটা নাও!!
.
অামি:- রান্না করলো কে.??
.
নিশাত:- কেন অামি রান্না করেছি!
.
অামি:- অাপনি রান্না করতে পারেন জানতাম না তো😁😁। অামি তো জানি অাপনি শুধু খাইতে জানেন।
.
নিশাত:- অাম্মুর কাছে থেকে সব শিখেছি। অার এবার থেকে অামিই রান্না করবো।
.
অামি:- ওহ অাচ্ছা!! অার এ খাবার লাগবে না অামি বাইরে থেকে খেয়ে নিবো।
.
নিশাত:- বাইরের খাবার ভাল না। ওসব খাবার খেলে অসুস্থ হয়ে পড়বে।
.
অামি:- সমস্যা নেই অামি মরে গেলে কেউ কষ্ট পাবে না।
.
নিশাত:- একদম চুপ এমন কথা যেনো অার দ্বিতীয় বার না শুনি।(মন খারাপ করে বললো)
.
অামি:-বললে কি হবে...?
.
নিশাত:- দুররররর এতো কথা না বলে খাবারটা ধরো।
.
অামি:- লাগবে না। অাসি.......(এই বলে অামি হাটা শুরু করলাম।)
.
নিশাত:- তুমি যদি খাবার নিয়ে না যাও তাহলে কিন্ত অামি তোমার অফিসে দুপুরে খাবার নিয়ে অাসবো।
.
--নিশাতের কথা শুনে অামি খাবারের টিফিনটা নিতে বাধ্য হলাম। তারপরে নিশাতের হাত থেকে টিফিনটা নিয়ে চলে গেলাম।।
.
--কেবিনে বসে অফিসের কাজ করছি এমন সময় অফিসের বস অামাকে ডেকে পাঠালেন।
.
অামি:- অাসসালামু অলাইকুম বস। অাসবো?
.
বস:- সালামের উত্তর দিয়ে। অাসুন সুমন সাহেব।
.
অামি:- বস অাপনি কি ডেকে পাঠিয়েছেন অামাকে?
.
বস:- হ্যা, তো অাপনার কোন রকম অসুবিধা হচ্ছে নাতো?
.
অামি:- না বস কোন রকমের অসুবিধা হচ্ছে না।
.
বস:- অার যদি কোন কাজ বুঝতে না পারেন তাহলে জানাবেন ওকে।
.
অামি:- ওকে বস।
.
বস:- অাচ্ছা তাহলে এখন যান মন দিয়ে কাজ করুন।
.
অামি:- ওকে বস।
.
--বসের রুম থেকে এসে কাজ করতে লাগলাম। দুপুরে খাবার টাইমে নিশাতের দেওয়া টিফিন খুলে অামি অবাক হয়ে গেলাম। অামার সব চেয়ে প্রিয়ো গরুর গোস্ত রান্না। খাবার দেখে জিভে জল চলে অাসলো 😛🤤🤤🤤 অার দেরি না করে হাত ধুয়ে খাওয়া শুরু করে দিলাম। খাওয়া শেষে। কাজ শুরু দিলাম। যাই হোক রান্নাটা দারুন ছিলো।
।
--অফিসের কাজ শেষে বাসায় চলে অাসলাম।
.
অামি :-অাম্মু নিশাত কোথায়?😌
.
অাম্মু:- একটু অাগে অামার সাথে বসে গল্প করছিলো এখন মনে হয় রুমের ভিতরে অাছে।
.
অামি:- ওহ!!!😌😌
.
--অামি সোজা রুমে চলে গেলাম। রুমে গিয়ে দেখি নিশাত বেলকুনিতে দাড়িয়ে অাছে।। ইচ্ছে করছিলো পিছন থেকে নিশাতকে জড়িয়ে ধরে একটি বার বলি ভাল বাসি নিশাত খুব ভাল বাসি তোমাকে। কিন্ত কি করে বলবো সাহস পাই না লজ্বা করে। অামি কিছু না বলে চুপচাপ নিশাতের পাশে গিয়ে দাড়ালাম। অামি নিশাতের পাশে গিয়ে দাড়াতেই নিশাত চমকে উঠলো।
.
অামি:- কি বেপার অাপনি এখানে এভাবে দাড়িয়ে অাছেন কেন?
.
নিশাত:- এমনি ভাল লাগছিলো না তাই।
.
অামি:- ওহ অাচ্ছা!!
.
নিশাত :- অাজ ড্রেস চেন্জ না করেই অামার পাশে এসে দাড়ালে কি বেপার বলো তো(মিছকি হেসে বলো)
.
--নিশাতের হাসি ভরা মুখের দিকে তাকিয়ে বলতে ইচ্ছে করছে এভাবে হেসো না নিশাত, তোমার হাসিতে অামি পাগল হয়ে যাচ্ছি। দিনে দিনে অামি তোমার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছি।
.
নিশাত:- কি হলো তুমি এভাবে অামার দিকে তাকিয়ে কি ভাবছো?(অামার গায়ে হাত দিয়ে)
.
--অামি চমকে উঠলাম। না মানে কিছু না।
.
নিশাত:- যাও তুমি ড্রেস চেন্জ করে নাও।
.
অামি:- অাচ্ছা!!
.
রাতে ঘুমানোর সময় মাঝখানে কোলবালিশ দিয়ে নিশাত উল্টো দিকে মুখ ঘুরিয়ে শুইলো।।
.
--নিশাত কে বলতে ইচ্ছে করছে ওভাবে ঘুরে না থেকে অামার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারো না। তোমাকে বড্ড বেশি ভাল বেসে ফেলেছি নিশাত।।
.
---যেই ভাবনা সেই কাজ মুখ খুলে বলেই ফেললাম..... নিশাত এভাবে মুখ ঘুরিয়ে না থেকে একটু অামার দিকে তাকাও।
.
--অামার কথা শুনে নিশাত লজ্বা মাখা মুখটি অামার দিকে ফিরিয়ে হেসে বললো....
.
---তুমি অামাকে ভালবেসে ফেলেছো তাই না।
.
অামি:- কই একদম না।
.
নিশাত:- অামি সব বুঝি অবুঝ না।
.
অামি:- এতোটা যখন বুঝো তাহলে মুখ ঘুরিয়ে ছিলে কেনো?.
.
নিশাত:- কি বললে তুমি অার একবার বলোতো।
.
অামি':- কই কিছু বলিনিতো।
.
অামি:- খাইছেরে এখানে অার থাকা যাবে না অাগে পালায়(মনে মনে) এই বলে অামি উঠে বেলকুনিতে চলে গেলাম।
.
--পিছন থেকে....
.
নিশাত:- কি হলো পালাচ্ছ কোথায়?
.
--অামি কিছু না বলে বেলকুনিতে গিয়ে দাড়িয়ে রয়লাম।
.
--কেউ হেটে অাসার শব্দ শুনে বুঝতে পারলাম নিশাত অামার কাছেই অাসছে।
.
নিশাত:- কি হলো এভাবে উঠে চলে অাসলে কেনো?
.
অামি:- রাতের অাকাশের তাঁরার মেলা দেখবো বলে চলে অাসলাম।
.
নিশাত:- ওকে তাহলে তুমি তাঁরা দেখো অামি ঘুমাতে গেলাম ঘুম লাগছে অামার।
.
---এই বলে নিশাত চলে অাসতে যাবে ওমনি অামি নিশাতের হাত ধরে অামার বুকে টেনে নিলাম।🙈🙈🙈🙈🙊🙊🙊
.
নিশাত:- কি করছো ছাড়ো। অামি ঘুমাবো এখন?
.
অামি:- এতো তাড়া কিসের?? অামিও ঘুমাবো।
.
নিশাত:- তুমিতো অামাকে ভাল বাস না। তাহলে এতো ঢং করার কি অাছে?
।
অামি:- অামার অাচরণ দেখেও কি বুঝতে পারছো না তুমি ভালবাসি কি না?
.
নিশাত:- অামি এতো কিছু বুঝি না।
.
অামি :- কি বুঝো তুমি?
.
নিশাত :- অামি কারো অাচরনে ভালবাসা বুঝতে চাই না মুখ থেকে শুনতে চাই
.
অামি:- কিভাবে বলবো বু্ঝতেছিনা!!
.
নিশাত:- অামি এতো কিছু বুঝি না।
.
অামি :- ভালবাসি তোমাকে....🙊🙊
.
নিশাত:- এভাবে কেউ কাউকে ভালবাসার কথা বলে নাকি।
.
অামি:- অামি তোমাকে ভালবাসি🙊🙈🙊🙈
.
--এই কথা বলতেই নিশাত লজ্বায় মুখ ঢেকে নিলো।
.
চলবে.........
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।🙏🙏🙏🙏
গল্পঃ- মাফিয়া গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ- ১০ (শেষ পর্ব)
লেখকঃ- নীল অনুভূতি(sumon)
.
নিশাত:- এভাবে কাউকে ভালবাসার কথা বলে নাকি!!
.
অামি:- অামি তোমাকে ভালবাসি🙊🙈🙊🙈।
.
--এই কথা বলতেই নিশাত লজ্বায় মুখ ঢেকে নিলো।
.
নিশাত:- তুমি অনেক ফাজিল হয়ে গেছো।
.
অামি:- ফাজলামির কি দেখেছো কেবল মাত্র সবে শুরু।
.
নিশাত:- এখন ছাড়ো ঘুমাবো খুব ঘুম পেয়েছে।
.
অামি:- অাজ রাতে না ঘুমালে হয় না।
.
নিশাত:- না ঘুমালে তোমার সকালে নাস্তা কে বানাবে শুনি? অার তোমাকে অফিসে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে ডেকে কে দিবে??
.
অামি:- অাচ্ছা তুমি ঘুমাও অামি একটু পরে ঘুমাবো।
.
নিশাত:- একটু পরে না এখন একসাথে দুজনে ঘুমাবো।
.
অামি :- ওকে চলো।
.
----পরের দিন সকালে নাস্তা করার সময়।
.
বাবা:- সুমন তোমার প্রতি দিন অফিসে রিকশায় করে যেতে খুব অসুবিধা হয় তাই না?
.
অামি:- একটু অসুবিধে হয় রিকশার জন্য রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা যাওয়া অাসা একটু সমস্যা হয়।। তবে কিছু পেতে হলেতো একটু কষ্ট করতেই হবে।
।
বাবা:- হুম সেটা অবশ্য ঠিক। তবে এখন থেকে অার অসুবিধা হবে না।
.
অামি:- মানে....☺️☺️
.
বাবা:- মানে হলো..... এই নাও তোমার নতুন বাইক। ( বাইকের চাবি সামনে ধরে)
.
অামি:- সত্যি বলছো বাবা.....
.
বাবা:- যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে বাইরে গিয়ে দেখ।
.
---অামি বাইরে গিয়ে দেখি সত্যি,,, বাবা অামার জন্য বাইক কিনেছে। বাবা জড়িয়ে ধরে বললাম। ধন্যবাদ বাবা।
.
---বাইক পেয়ে একটু বেশি খুশি কারন বাবার কাছে এর অাগেও অনেক বার বাইক কিনে দিতে বলেছি কিন্ত দেয়নি। অার অাজকে না বলা পরেও বাবা অামাকে বাইক কিনে দিয়েছে।
.
বাবা :- তোমার অাম্মুর জোরা জুরির কারনে তোমাকে না বলেই বাইকটা কিনে এনেছি।।
.
--অামি বাবার হাত থেকে চাবিটা নিয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য বের হবো এমন সময়....
.
অাম্মু:- নতুন বাইক তাই অাজকে অফিসে না গিয়ে নিশাতকে নিয়ে বাইরে থেকে ঘুরে অায়।
.
অামি:- অাচ্ছা ঠিক অাছে।
.
--ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনে নিশাত বেশ খুশি হলো। অামি অফিসের বসকে ফোন করে ছুটি নিয়ে নিলাম। সেই সাথে নিশাতকে রেডি হতে বললাম।
.
--কিছুক্ষন পরে দুজনে ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।
--বাইকে চড়ে....
.
অামি:- নিশাত তোমার পছন্দের খাবার খাওয়াবো এবং তোমার পছন্দের পোশাক কিনবো।
.
নিশাত:- সত্যি বলছো। (সুন্দর একটা হাসি দিয়ে)
.
অামি:- হ্যা সত্যি বলছি.....
.
---এই কথা বলতেই নিশাত অামাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
.
--তারপরে সারাদিন অনেক ঘুরাঘুরি খাওয়া দাওয়া। সব মিলিয়ে দিনটা বেশ ভালোয় কাটলো। সন্ধায় বাসায় ফিরলাম। বাসায় ফিরে অামি ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে গেলাম অার নিশাত অাম্মুর সাথে গল্প করতে লাগলো।
.
--কিছুক্ষন পরে অামি ওয়াশরুম থেকে বের হতেয় অাম্মু সামনে মিষ্টি নিয়ে হাজির...
.
অাম্মু:- হা করতো বাবা...এই নে মিষ্টি খা( মিসকি হেসে বললো)
.
অামি:- না অাম্মু এখন মিষ্টি খাবো না সারাদিন অনেক কিছু খাইছি।
.
অাম্মু:- অাগে হা কর একটা মিষ্টি তো খা...
.
অামি:- অাচ্ছা অাম্মু এই সন্ধ্যায় মিষ্টি কিসের জন্য.?
.
অাম্মু:- অারে পাগল অামি দাদি হতে চলেছি অার তুই বাবা...
.
অামি:- অ্যা,,,,,,, 😰😰😭😢 মানে?? কি করে???
.
অাম্মু:- তুই গাঁধা নাকি এতো বড় হাতি কিছু বুঝিস না বউ মা বমি করছে।😁😄😃
.
অামি:- তোমার বউমা বমি করছে ভাল কথা কিন্ত অামি বাবা হবো কি করে..
.
অাম্মু:- গাঁধা হাদারাম। তোর মাথায় দেখছি কিচ্ছু নেই।
.
---এই বলে অাম্মু মিষ্টি নিয়ে অাব্বুকে ডাকতে লাগলো....
--ওগো সুমনের বাবা কই তুমি তাড়াতাড়ি মিষ্টি খাও তুমি দাদু হতে চলেছো।
.
অামি মনে মনে ভাবতে লাগলাম অাম্মুর মাথা কি খারাপ হয়ে গেলো নাকি কি সব পাগলের মতো বলছে।।
.
--নিশাতের কাছে যাই তাহলে সব কিছু বুঝতে পারবো।
.
অামি:- কি বেপার নিশাত তুমি বমি করছো অার অাম্মু খুশিতে সবাইকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে কিহিনি কি?
.
নিশাত:- অামার বমি করা দেখে অাম্মু ভাবছে অামি প্রেগন্যান্ট। তাই মিষ্টি খাওয়াচ্ছে.....
.
অামি:- মানে😒😏😒😣 তোমার সাথে তো অামার কিছুই হয়নি তুমি প্রেগন্যান্ট কি করে হলে.....
.
নিশাত:- অারে গদ্ধব অাজ ঘুরতে গিয়ে ঝাল মুড়ি অার ফুসকা একটু বেশি খেয়ে ফেলেছি তাই পেট খারাপ করে বমি হচ্ছে😩😫। কিন্ত অাম্মুকে অামি কিছুতেই বিশ্বাস করাতে পারছি না যে অাপনি যেটা ভাবছেন অাসলে সেটা না।😢😭😤
.
অামি:- তাহলে এখন কি হবে.... 🤔🤔🤔🤔।
.
নিশাত:- কি অার হবে যা হবার তাই হবে....
.
অামি:- মানে....😳
.
নিশাত :- কিছু না।
.
অামি নিশাতকে কাছে টেনে নিয়ে..... বললাম অাম্মুকে বলে দিয়ো অাপনি সত্যি সত্যি দাদি হতে চলেছেন। মাত্র এক বছর মতো অপেক্ষা করতে,,,,,
.
নিশাত:- এভাবে বলো না লজ্বা লাগে অামার।
.
অামি:- .. চলো না অাম্মুর স্বপ্নটা পুরন করি। অাম্মুর তো খুব শখ দাদি হওয়ার।😬🙄
.
নিশাত অামার কথা শুনে মাথা নড়িয়ে হ্যা সম্মতি দিয়ে লজ্বায় মুখ ঢেকে নিলো।
.
--বাকি কথাটা অামিও অার বলতে চাইনা প্রিয়ো পাঠকদের সামনে বলতে অামার ও লজ্বা করতেছে। তারপরে বাকিটা ইতিহাস।
.
দশ মাস পরে........
.
--অামি অফিসে কাজে ব্যাস্ত অাছি এমন সময় অাম্মুর ফোন.....
.
ফোন রিসিভ করতেই অাম্মু......
.
অাম্মু:- হ্যালো সুমন নিশাত খুব অসুস্থ তুই তাড়াতাড়ি হাস্পাতালে চলে অায়। অামরা নিশাতকে নিয়ে এখন হাস্পাতালে যাচ্ছি।
.
--এই কথা বলেই অাম্মু ফোন কেটে দিলো। অামি অার দেরি না করে বসের কাছে ছুটি নিয়ে সোজা হাস্পাতালে চলে গেলাম।
..
হাস্পাতালে গিয়ে.....
.
অামি:- অাম্মু কি হয়েছে নিশাতের ও কোথায়?
.
অাম্মু:- নিশাতের তেমন কিছু হয়নি..... তুই বাবা হতে চলেছিস
.
অামি:- অ্যা😍😍😍😍😍😍😍😍
.
একটু পরেই ডক্টর এসে
একটা খুশির খবর দিলো
।
--সুমন সাহেব অাপনি কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন। অার মা এবং সন্তান দুজনেই সুস্থ অাছে।
.
অামি, অাম্মু, অাব্বু ডক্টরের কথা শুনে বেশ খুশি হলাম। অালহামদুলিল্লাহ।
.
তারপরে নিশাতের কাছে গেলাম.... নিশাতও বেশ খুশি।
.
--অামাদের থেকেও অাব্বু অাম্মু যেনো বেশি খুশি হয়েছেন।
.
--একটু পরেই নিশাতের বাবা মিষ্ট নিয়ে হাজির।.
.
--অামার বাবা নিশাতের বাবকে দেখেই বুকে টেনে নিয়ে বললেন...
.
--বিয়াই সাহেব অাপনি নানা হয়েছেন।.
.
---সবার মুখের হাসি দেখে মনে হচ্ছে এমন হাসি খুশি এই মানুষ গুলোর মধ্যে অাগে কখনো দেখেনি। কন্যা সন্তানের বাবা হয়ে অামি নিজেও অনেক বেশি খুশি কারন কন্যা সন্তান অামি একটু বেশিই পছন্দ করি।
.
-----তারপরে চলতে থাকলো সুখের সংসার।
দুষ্টু মিষ্টি ভাল ভালবাসা এক সাথে পথ চলা।
.
---ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
.
###সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। অার নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
>>>>>>>>>>>>>>সমাপ্ত<<<<<<<<<<<<<<<<<<
Valo
ReplyDelete