#অথবা: পাশের বাড়ির বড় আপু যখন বউ
#পার্ট: ৫
#লেখক: Osman
__আমি হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি আসলাম। এসে সুবর্ণা বললো। জানি সুবর্ণা দেখলে বকা ঝকা করবে সেজন্য দেখাতে চাচ্ছিলাম না।
সুবর্ণা: দেখি তর পাটা।
আমি: আরে কিছু হয় নাই।
সুবর্ণা: দেখাবি নাকি তর মাকে গিয়ে বলবো।
আমি: কিছু হয়নাই তো কি গিয়ে বলবা?
সুবর্ণা: দেখাইলে সমস্যা কি?
আমি: ওকে দেখো।
__আমি ট্রাউজার ওপরে তুলে দেখালাম। অনেক খানি যায়গা কালো হয়ে গেছে। সুবর্ণা বললো
সুবর্ণা: জানতাম এরকম কিছু একটা হয়েছে।
দেখছত কালো হয়ে গেছে। তরে এতো করি বলি খেলার দরকার নেই। এখনো কি ছোট আছত?
আমি: হয়েছে থাক আর বলতে হবে না।
__সুবর্ণা বরফ এনে সেখানে দিলো বললো।
সুবর্ণা: সামনে থেকে আর খেলার দরকার নেই।
আমি: না খেলবো।
সুবর্ণা: তুই কি আর আমার কথা শুনবি। পরে আবার ব্যাথা পাবি।
আমি: চুপ করো না । এখন।
__সুবর্ণা সুন্দর করে। বরফ লাগিয়ে দিলো। আমি গোসল করে পড়াত বসলাম। সুবর্ণা মার সাথে গিয়ে
রান্নার কাজে হেল্প করতে লাগলো। একটু পর হালকা নাশতা দিয়ে গেলো। কিছুক্ষণ পড়ালেখা করে ভাবলাম বাইরে থেকে একটা সিগারেট খেয়ে আসি সুবর্ণা আসলে বললাম।
আমি: আমি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি।
সুবর্ণা: এখন কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। বসে বসে পড়।
আমি: না যাবো।
সুবর্ণা: কেনো এখন বাইরে যাবি।
আমি: আমি একটা সিগারেট খাইতে। (বললাম হেসে)
সুবর্ণা: ধুর। তুই কি জীবনে ভালো হবি না?
আমি: না।
সুবর্ণা: এখন যদি যাস। তাহলে তর মার কাছে বলে দিবো তুই সিগারেট খাস।
আমি: বইলো।
__এই বলে আমি বাইরে চলে আসলাম। আমি জানি সুবর্ণা বলবে না। আমি সিগারেট খেয়ে । বাসায় আসলাম। আসার সময় মরিয়মের জন্য আর সুবর্ণার জন্য আইসক্রিম নিয়ে আসলাম। সুবর্ণা আইসক্রিম পেয়ে মহাখুশি বললো।
সুবর্ণা: তাহলে এই ছিলো তর মনে।
আমি: হুম।
সুবর্ণা: ভাত খেয়ে যা।
আমি: আসতাছি।
আমি খেয়ে দেয়ে রুমে এসে গল্পের বই পড়তাছি। আমি নিচে শুই বরাবরই মতো আজকেও নিচে শুইলাম। সুবর্ণা এসে দেখে আমি নিচে শুয়ে আছি।
সুবর্ণা বললো।
সুবর্ণা: কিরে আজকেও নিচে শুবি।
আমি: কেনো আজকে কি কোনো স্পেশাল দিন নাকি।
সুবর্ণা: না ওপরে শো।
আমি: না ।
সুবর্ণা: হয় তুই আমার সাথে ওপরে শো। নইতো আমি তর সাথে নিচে শুইবো।
__আমি এটাই চাইছিলাম।
আমি: তোমার যা ইচ্ছা করো।
__সুবর্ণা আমার পাশে বালিশ দিলো। আর গিয়ে কাপড় চেঞ্জ করলো। সুবর্ণা এতক্ষন সেলোয়ার কামিজ পড়া ছিলো । সেগুলো চেঞ্জ করে একটা লেহেঙ্গা আর আর হাতা কাটা গেঞ্জি পড়লো। তাকে অনেক সুন্দরী লাগছিলো । সুবর্ণা আমার পাশে শুয়ে পড়লো। আর পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। আর আমার ঘাড়ে মাথা রাখলো। সুবর্ণা বললো।
সুবর্ণা: সাকিব এদিকে ফির।
আমি: কেনো ?
সুবর্ণা: আরে ফির না।
আমি: ওকে।
__আমি সুবর্ণার দিকে ফিরলাম। সুবর্ণা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি: এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
সুবর্ণা: এমনি তকে দেখতে ইচ্ছে করছে।
আমি: কি? দাড়াও দেখাচ্ছে মজা।
___এই বলে আমি সুবর্ণাকে কোলে তুলে নিলাম। সুবর্ণাও আমার গলায় ধরলো। আমি তাকে বিছানায় নিয়ে ফেললাম। আমি ও তার পাশে শুয়ে পড়লাম। সুবর্ণাও আমাকে জড়িয়ে ধরলো । আমিও আমার সুবর্ণাকে জড়িয়ে ধরলাম। এবং তার কপালে চুমু খেলাম। ভাবলাম আসলে সুবর্ণা আমাকে সত্যি মনে হয় খুব ভালোবাসে। আর আমি তাকে খুবই ভালোবাসি । এতদিন কি হয়েছে জানিনা। এখন থেকে নিয়ত করলাম । তাকে সব সময় আগলে রাখবো। সে আমার জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করছে। এখন থেকে নিয়ত করলাম। তাকে আর কোনো কষ্ট সহ্য করতে দিবো না। তাকে আমি সত্যিই অনেক ভালবাসি। এসব কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।
__সুবর্ণা পড়ছে বিপদে । সুবর্ণার ব্যাংকের ম্যানেজার কারণে অকারণে অধিকাংশ সময় সুবর্ণাকে অফিসে বসিয়ে রাখে । এটা সেটা আজাইরা কথা বার্তা বলে। আর মাঝে মাঝে এমন এমন যৌক বলে না হেসে থাকতে পারেনা সুবর্ণা। সুবর্ণা স্যারকে নাও বলতে পারে না। একদিন সুবর্ণার ম্যানেজার সুবর্ণাকে জিজ্ঞেস করলো ।
স্যার: তোমার ঐ পিচ্চি জামাই কি তোমাকে খুব ভালোবাসে?
__ঐসময় সাকিবের সাথে সুবর্ণার সময় খারাপ যাচ্ছিলো তাই সুবর্ণা বললো।
সুবর্ণা: ভালোবাসে স্যার।
স্যার: আমার মনে হয় ভালোবাসে না।
সুবর্ণা: আপনার এরকম মনে হয় কেনো?
স্যার: দেখো এসব আমরা পিছনে ফেলে এসেছি সব বুঝি আমরা। যদি তোমার তাকে ভালো না লাগে । তাহলে তুমি তাকে ছেড়ে দেও।
__সুবর্ণা তখন আর কিছু বলে নাই । বাড়িতে এসে আম্মার সাথে রান্না ঘরে কাজ করতাছে। আম্মা (মানে সাকিবের মা) জিজ্ঞাসা করলো।
আম্মা: মা তুমি এরকম সব সময় মুখ গোমড়া করে থাকো কেনো?
সুবর্ণা: তেমন কিছু না আম্মা।
আম্মা: আমি সব বুঝি মা। জানি তোমার সাথে সাকিবের সময় ভালো যাচ্ছে না। মা এখানে আমাদের কিছু করার নেই। একেতো আমরা তার অনুমতি ছাড়াই তোমাকে তার সাথে বিয়ে দিয়েছি। এখন যদি তাকে গিয়ে কিছু বলি। তাহলে সে সম্পুর্ণ দোষ দিবে আমাদের।
__সুবর্ণা কেঁদে দিলো এবং আম্মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে বলতে লাগলো।
সুবর্ণা: আমি জানি আম্মা সাকিব একদিন আমাকে ঠিক বুঝবে। আমার গুরুত্ব বুঝবে।
আম্মা: সে খুব ফ্রেস মাইন্ডের ছেলে। আমার মনে হয় তোমাকে সে খুব ভালোবাসে। একটু ধৈর্য ধরো মা।
সুবর্ণা: আমি তাকে খুব ভালোবাসি আম্মা ।
আম্মা: আমি জানি মা। এখন কেঁদো না। আর শোনো
সামনে মাসে আমরা এই ফ্ল্যাট ছেড়ে দিয়ে নতুন ফ্ল্যাটে চলে যাবো।
সুবর্ণা: না আম্মা আপনারা যান। সাকিবের সাথে ঝামেলা শেষ করে আমরা আসবো। আর এই ফ্ল্যাটের ভাড়া আমি দিবো।
আম্মা: কেনো মা শুধু শুধু অপচয় করবা। আমাদের সাথে নতুন ফ্ল্যাটে চলো।
সুবর্ণা: না আম্মা সাকিবের সাথে ঝামেলা মিটমাট করে আমরা আসবো। প্লিজ আম্মা না কইরেন না।
আম্মা: ওকে তোমার যা ইচ্ছা করো।
সুবর্ণা: ওকে আম্মা এই জন্য আপনাকে আমার এতো ভালো লাগে।
আম্মা: যাও সবাইকে বলো খাবার খেতে।
সুবর্ণা: আচ্ছা আম্মা।
__সুবর্ণা সবাইকে খাবার খেতে ডাকে। এর কিছুদিন পর জানি সাকিবের কি হলো। ব্যাংক থেকে আসার পর সুবর্ণাকে খুব কেয়ার করতে শুরু করে। সুবর্ণা ভাবলো সাকিব মনে হয় সুবর্ণাকে বুঝতে পারছে। এটাই সুবর্ণা চায়। এর কিছুদিন পর সুবর্ণা অফিসে কাজ করতে ছিলো। পি এস এসে বলে গেলো। অফিসে কিসের মিটিং আছে সবার ।
চলবে....
পাঠক-পাঠিকারা আমরা তোমাদের জন্য গল্প লেখি।
গল্পের এক পার্ট লেখতে আমাদের ২-৩ ঘন্টা চলে যায় । আর তোমাদের একটা রিয়েক্ট দিতে এক সেকেন্ড লাগবে। তাই কেউ রিয়েক্ট না দিয়ে যাবেন না। আর ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
❤️❤️❤️❤️
ReplyDelete